ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে মুখোমুখি হতে পারেন যে নারীরা!

Slider বিচিত্র

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা। কূটনৈতিক বার্তা চরমে উঠেছে। জলে-স্থলে-আকাশে পরস্পরকে একে অন্যকে সুমানে ডেক্কা দিচ্ছে এই দুই দেশ। জম্মু-কাশ্মীরের উরি সেনা ক্যাম্পে পাকিস্তান মদত পুষ্ট জঙ্গি হানার পর থেকেই নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ সম্পর্ক রীতিমতো তেতে উঠেছে৷

সবকিছু মিলিয়ে একবিংশ শতকে প্রথমবার ভারত-পাকিস্তান আবারও সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুত।

উত্তপ্ত সম্পর্কের এই পরিস্থিতিতে দু’দেশের তরফের সেই নয় আকাশ কন্যাকে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক, যারা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন।
আকাশ কাঁপানো তিন মহিলা ভারতীয় বিমান সৈনিক-

সম্প্রতি ভারতীয় বিমান বাহিনীর ফাইটার স্কোয়াড্রনে তিন নারীর অন্তর্ভুক্তি ঘটেছে। শক্তিতে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম বিমান বাহিনীর ফাইটার পাইলট হলেন অবনী চতুর্বেদী, মোহনা সিং ও ভাবনা কান্থ।

রয়েল ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স থেকে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের সুদীর্ঘ ৮৪ বছরের যাত্রাপথে এই তিন নারী বিমান সৈনিকের নাম ইতিহাসে উঠে এসেছে। যে কোনো মুহূর্তে অবনী, মোহনা, ভাওয়ান সরাসরি শত্রুপক্ষকে নাস্তানাবুদ করতে তৈরি। হায়দরাবাদের হাকিমপেট এয়ারফোর্স একাডেমি থেকে পাস আউট করেছেন তিন নারী যুদ্ধবিমান চালক।
এবার রইল প্রতিদ্বন্দ্বী ছয় পাকিস্তানি নারী যুদ্ধবিমান চালকের কথা-

৬৯ বছরের পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে যুদ্ধবিমান চালক হিসেবে মহিলাদের স্থান রয়েছে। এরা হলেন আয়েশা ফারুক, অম্বরিন গুল, সাবা খান, নাদিয়া গুল, মরিয়ম খলিল৷

আয়েশা ফারুক-

পাকিস্তানের অন্যতম ফাইটার বিমান চালক। বাড়ি ভাওয়ালপুরে। বিমান প্রশিক্ষণ পর্বে বিশেষ কৃতিত্ব দেখিয়েছেন আয়েশা।

অম্বরিন গুল-

ইসলামাবাদের বাসিন্দা। বাবা এক বেসরকারি কোম্পানির ম্যানেজার। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে এয়ারফোর্সে যোগ দেন অম্বরীন। প্রশিক্ষণ শেষে যুদ্ধ বিমান চালক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।

সাবা খান-

বালোচিস্তানের রাজধানী কোয়েটার বাসিন্দা। পাকিস্তান এয়ারফোর্সের প্রথম মহিলা ব্যাচের একজন সাবা। সরাসরি আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখেননি তিনি। কাগজে চাকরির বিজ্ঞাপণ দেখে এয়ারফোর্সের পরীক্ষায় আবেদন করেছিলেন। বাকিটা ইতিহাস।

সায়রা বাতু-

উপজাতি হাজারা গোষ্ঠী থেকে উঠে আসা যুদ্ধ বিমান চালক। পাকিস্তানি নারীদের মধ্যে আইকন সায়রা।

মরিয়ম খলিল-

পাকিস্তানি মহিলা যুদ্ধ বিমান চালাকদের অন্যতম নাম। পাকিস্তান এয়ারফোর্সের প্রথম মহিলা ব্যাচের অন্যতম। যোগ্যতা পর্বে কৌশলী যুদ্ধবিমান চালক হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *