ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৫টি আসনে নৌকার জয়, ১টি স্থগিত

Slider জাতীয়

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটি আসনেই বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন ১ লাখ ১ হাজার ১১০ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬০ হাজার ৭৩৪ ভোট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৫২৩ ভোট। আর বিএনপির প্রার্থী খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৭৭ ভোট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ২ লাখ ৮২ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী না থাকায় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মোঃ জসিম। তিনি তার দলীয় প্রতীক হাতপাখায় পেয়েছেন ২ হাজার ৯৪৯ ভোট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবাদুল করিম বুলবুল পেয়েছন ২ লাখ ৫১ হাজার ৫২২ ভোট। আর বিএনপির প্রার্থী নাজমুল হোসেন তাপস পেয়েছেন ১৭ হাজার ১১ভোট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এ বি তাজুল ইসলাম পেয়েছেন ২ লাখ ৭৮ হাজার ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী আব্দুল খালেক পেয়েছেন ১ হাজার ৩২৯ ভোট।

তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ ও ৬ আসনের বিএনপি প্রার্থী ভোট চলাকালীন সময়েই কেন্দ্র দখল করে নৌকায় সীল মারা, জাল ভোট প্রদান, রাতেই নৌকায় সীল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে রাখা, ধানের শীষের এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা ও কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়াসহ নানান অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ ও ৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী একই ধরনের অভিযোগে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করেন।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত হবার প্রেক্ষিতে ফলাফল ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। আসনটিতে ১২৯টি কেন্দ্রের ফলাফলে ধানের শীষ প্রতীকে ৮২হাজার ৭২৩ ভোট পেয়ে বিএনপি প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া এগিয়ে রয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দিন মঈন কলার ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৭২ হাজার ৫৬৪ ভোট। আসনে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন মহাজোট সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জাপা নেতা অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। সিংহ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৩০৫ ভোট।

স্থগিত হওয়া কেন্দ্রগুলো হলো- যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোহাগপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র। আশুগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত এ তিনটি কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ১০ হাজার ৫৭৪। আর মঈন উদ্দিনের বাড়ি ওই উপজেলার তালশহর গ্রামে।
এই তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তবে এ আসনে মঈন উদ্দিন মঈনকে জয়ের জন্য তিনটি কেন্দ্রের সবকটি ভোট পেতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *