পাকিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা আনলো নিউজিল্যান্ড। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি জিতে নেয় পাকিস্তান।
শুক্রবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডকে জয়ের স্বাদ দেন কেন উইলিয়ামসন। ব্যাট হাতে ৭০ রানে অপরাজিত থেকে নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন উইলিয়ামসন।
শারজাহ স্টেডিয়ামে এটি নিউজিল্যান্ডের প্রথম জয়। এর আগে ১১টি ম্যাচ খেললেও একটিতেও জয়ের মুখ দেখেনি কিউইরা। শুক্রবার টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে পাকিস্তান সবকটি উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৫২ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ২৪ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড।
২৫৩ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ১০৩ রান যোগ করে ব্রাউনলি ও ডেভচিচ। এই জুটি ভাঙেন শহীদ আফ্রিদি। ৪৭ রানে ব্রাউনলি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান। স্কোরবোর্ডে ৬৪ রান যোগ হতে আরো ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা।
ষষ্ঠ উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন কেন উইলিয়ামসন ও রঞ্চি। ৫৮ রান যোগ করে এই জুটি। দলীয় ২২৫ রানে আফ্রিদি তার শেষ ওভারে রঞ্চিকে (৩৬) বিদায় করে ম্যাচ জমিয়ে তোলার আভাস দেন।
কিন্ত সপ্তম উইকেটে ৩০ রান যোগ করে ভেট্টরি ও উইলিয়ামসন দলের জয় নিশ্চিত করেন। ম্যাচ-সেরা উইলিয়ামসন ৯১ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৭০ ও ভেট্টরি ৮ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৩ রান করেন।
পাকিস্তানের সেরা বোলার হ্যারিশ সোহেল। ৪৮ রানে ৩ উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন শহীদ আফ্রিদি।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করে ৪৮.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান করে পাকিস্তান।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আহমেদ শেহজাদের (০) উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে পাকিস্তান। সেই ধকল কেটে উঠতে না উঠতেই ব্যক্তিগত ছয় রানের মাথায় বিদায় নেন দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইউনিস খান। মাত্র এক রান করে হেনরির বলে সরাসরি বোল্ড হন আসাদ শফিক।
তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৭৭ রান তুলে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ হাফিজ ও হ্যারিস সোহেল। ৪৭ বলে ৩৩ রান করে অ্যান্ডারসনের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন সোহেল।
অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হকের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান। আফ্রিদি করেন ২৭ রান। পাকিস্তানের স্কোরসিটে ৩৩ রান যোগ করেন উইকেটরক্ষক সরফরাজ আহমেদ। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন হাফিজ। ৯২ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় এ ইনিংস সাজান তিনি।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৪৫ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন ম্যাট হেনরি। ৩ উইকেট দখলে নেন মিচেল ম্যাকক্লেগান। অ্যাডাম মিলান নিয়েছেন দুটি উইকেট। আর বাকি উইকেটটি পেয়েছেন কোরি অ্যান্ডারসন।