এখন একটু থামুন দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য

Slider খেলা

হাফিজুল ইসলাম লস্কর :: মাহমুদুল্লাহ, ইমরুল ও মুশফিকের কাধেঁ ভর করে আফগান জুজু কাটিয়ে উঠলো বাংলাদেশ। এবং মুস্তাফিজ ও মাশরাফির বোলিং নৈপুণ্যে ৩রানে জিতলো বাংলাদেশ।
.
পরিশেষে নির্বাচকদের উদ্দ্যেশ্যে বলতে চাই, গুরুত্বপুর্ন সিরিজে বিশেষ করে এশিয়া কাপের মতো টুনামেন্টে নবীরদেরকে ঠেলে দিয়ে তাদের উজ্জল ভবিষ্যত নিয়ে চিনিমিনি খেলবেন না।

সেই সাথে একই সাথে তিন/চার নবীন খেলোয়ারকে অভিষেক করিয়ে দেওয়ার তামাশা বন্ধ করুন। দলের প্রয়োজনে একজন খোলোয়ারকে অভিষেক করানো যেতে পারে। তাই বলে তিন বা চাঁর জনকে নয়।

অভিজ্ঞদের উপর থেকে হুট করে আস্তা হারিয়ে ফেলবেন না। তাতে তাদের নয় আপনাদেরই দক্ষতা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়। এই এশিয়া কাপসহ বিগত সিরিজগুলোতে এটা বারবার প্রমানিত হয়েছে প্রতিভার চেয়ে অভিজ্ঞতাই অগ্রগামী ছিল।

এই সিরিজে যে ইমরুলকে অবজ্ঞা করা হয়েছিল সেই ইমরুলই প্রমান করে দিয়েছে যে আপনারা নির্বাচকরা ভুল ছিলেন। আপনারা যে, নির্বাচক প্যানেল ভুলের উপর দাড়িয়ে টিম সিলেকশন করেন, তা যে ভুল তা একবার নয় হাজার বার শাহরিয়ার নাফিস, ইমরুল, আব্দুর রাজ্জাক, নাইম ইসলাম, আল আমিন ও মো: মিথুনরা ভুল প্রমান করেছে।

তবু কেন আপনাদের বোধোদয় হয় না তা আমরা সাধারন ক্রীড়ামোদী দর্শকদের বুঝে আসেনা। সেই সাথে আপনারা টি২০ খেলোয়ার যিনি তাকে টেষ্ট ক্রিকেটে, টেষ্ট মেজাজের খেলোয়ারকে টি২০ ক্রিকেটে অভিষেক করিয়ে অতীতে আপনাদের অযোগ্যতার প্রমান দিয়েছেন। এখন একটু এই অতি পরিক্ষা-নিরিক্ষা থেকে থামুন দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য। এবং দয়া করে যোগ্য খেলোয়ারকে যোগ্য ফরমেটে সুজোগ দিন তাও আস্তেধীরে।

সেই সাথে তাদের ভুলে যাবেন না, যাদের জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেট এত দুর পর্যন্ত এসেছে। তুষার ইমরান, নাইম ইসলাম ও শাহরিয়াল নাফিসরা কি দোষ করেছে যে তাদের কে টেষ্ট কিংবা ওয়ানডে ক্রিকেটে সুজোগ দেওয়া হচ্ছে না। বিশ্ব ক্রিকেটে দেখুন এর চেয়ে বেশি বয়েসি খেলোয়ালেরা দাপটের সাথে খেলে যাচ্ছে। দয়া করে তাদের অন্তত আরো তিনটি সুজোগ দেওয়া হোক।

সেই সাথে ড্যাশিং ওপেনার তামিমের সাথে বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভবনাময় খেলোয়ার মেহেদী মিরাজকে ওপেন করানো হোক। কারন মাশরাফীর পরে যোগ্য অধিনায়ক হতে পারেন এই মেহেদী মিরাজই। মেহেদী মিরাজ হাড-হিটার নয় সে কিন্তু ইকোনমি খেলোয়ার। তাই বাংলাদেশের ক্রিকেটের স্বার্থে তাকে দিয়ে পাচঁ থেকে সাতটি ম্যাচে ওপেন করিয়ে দেখা যেতে পারে। সেই সাথে এনামুল বিজয়কে আরো কিছু সুজোগ দেওয়া হোক।

মুমিনুর হক ও আবু হায়দার রনি বাংলাদেশের সম্পদ তাই তাদের এক ম্যাচ খেলিয়ে বসিয়ে রাখা ঠিক হয়নি। সেটা একটু ভেবে দেখুন। সব খেলোয়ারকে সমান সুজোগ প্রদান করুন তাদের প্রতিভা বিকাশ করার জন্য। সর্বোপরি বাংলাদেশ আগামী ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনারে খেলবে এই প্রত্যাশা ব্যাক্ত করে এখানেই শেষ করলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *