তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংযোজন করা সম্ভব: রিজভী

Slider রাজনীতি


ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তারা যেভাবে সংবিধান থেকে বাদ দিয়েছে ঠিক সেভাবেই আবার তা সংবিধানে সংযোজন করা সম্ভব। দেশের স্বার্থে সংশোধন করা যায় যেমনটি ক্ষমতাসীনরা করেছেন।

আজ নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী আহমেদ বলেন, যতই ষড়যন্ত্র, অপচেষ্টা ও অপলাপ করুন না কেন আপনাদের এবার বিদায় নিতেই হবে। অবিলম্বে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। সরকারকে পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙ্গে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করতে হবে। নির্বাচন নিয়ে সংবিধানের দোহাই দিয়ে কোন গড়িমসি চলবে না। জনগণের ভোট জনগণ দিতে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কোন বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না। শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচনের শত্রু পক্ষ। তাঁর অধীনে নির্বাচনের অর্থই হচ্ছে ভোটারদের ভোটাধিকার হরণ। জালিয়াতির মেশিন ইভিএম ব্যবহার নিয়ে নীলনকশা বন্ধ করুন। পৃথিবীর অন্যান্য স্বল্প সংখ্যক দেশে যারা ইভিএম চালু করেছিল তারাও এ পদ্ধতি নিষিদ্ধ করেছে। অথচ সকল প্রতিবাদ উপেক্ষা করে কেন এ গণবিরোধী সরকার ইভিএম মেশিন দিয়ে ভোট করতে চায়, সেটি এখন জনগণ টের পেয়ে গেছে। বিশ্বব্যাপি ইভিএম নিয়ে সন্দেহ প্রবণ এ মাধ্যম বন্ধ করে দিচ্ছে তখন বাংলাদেশের ভোটারবিহীন সরকার এ মেশিন চালু করতে এতো উৎসাহী কেন তা সুস্পষ্ট।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল রাতে বিএনপির জনসভার বক্তব্য নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি আওয়ামী লীগ নয়, নির্ভর করছে আদালতের ওপর। আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়, এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করবে না সরকার। একইসঙ্গে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে বিএনপি সরকারের যে পদত্যাগের দাবি করেছে, তা নাকচ করে দিয়ে কাদের বলেন,সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। আমি বলব- ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য কোনভাবে গ্রহনযোগ্য নয়। জনগণ আওয়ামী লীগের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে। গতকালের জনসভায় বিপুল মানুষের সমাগমেই প্রমাণিত হয়েছে জনগন এ সরকারকে আর চায় না। বিএনপি চেয়ারপারসন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জামিন বার বার বাধাগ্রস্ত করছে সরকার। তিনি একের পর এক মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও আবার তা নানা কায়দায় আটকে দিচ্ছে সরকার। সরকারের নির্দেশেই খালেদা জিয়া কারাগারে আটকে আছে। তিনি সুবিচারে নয় প্রতিহিংসামূলক সরকারি বিচারে কারাবন্দি। তাঁর কারাবন্দীত্ব শুধুমাত্র সরকারের প্রতিহিংসার শিকারে।

ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন – বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, স্বেচ্ছা সেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, ঢাকা জেলা সাধারণ সম্পাদক আবু আশফাক প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *