কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে পাকিস্তান পৌঁছেছে কেনিয়া ক্রিকেট দল

খেলা

image_161708.2014-12-11_5_151545কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে বুধবার লাহোর পৌঁছেছে কেনিয়া ক্রিকেট দল। জঙ্গীবাদে ভরপুর পাকিস্তানে প্রায় পাঁচ বছরের বেশি সময় পর এশিয়ার বাইরের কোন জাতীয় ক্রিকেট দল সফরে এলো।
২০০৩ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে ছিল কেনিয়া। কিন্তু তার পর থেকেই শীর্ষ ক্রিকেট দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে ব্যর্থ হওয়া কেনিয়ানরা পাকিস্তানের দ্বিতীয় সারির দলের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের একটি ওয়ানডে সিরিজ খেলবে।
২০০৯ সালের মার্চ মাসে লাহোরে শ্রীলংকা দল বহনকারী বাসে জঙ্গী হামলার পর থেকে পাকিস্তান সফরে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক দলগুলো। সে হামলায় আট ব্যক্তি নিহত ও সফরকারী দলের সাত খেলোয়াড় আহত হয়েছিলেন।
তালেবান সন্ত্রাসে জর্জরিত পার্শ্ববর্তী দেশ একমাত্র আফগানিস্তান ২০১১ সালে সংক্ষিপ্ত একটি ওয়ানডে সিরিজ খেলার জন্য পাকিস্তান সফর করে। এছাড়া গত মাসে একই দল পাকিস্তান এ দলের বিপক্ষে একটি টি-২০ ম্যাচ খেলার জন্য পাকিস্তান সফরে আসে।
বিমান বন্দরে পৌঁছার পর লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামস্থ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের(পিসিবি) সদর দপ্তরের কাছে নিকট ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমীতে (এনসিএ) নিয়ে আসা হয় কেনিয়া দলকে। বিমানবন্দর থেকে আসার পথে আটটি পুলিশ ভ্যান দিয়ে কেনিয়া দল বহনকারী বাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
এই একাডেমীতেই অবস্থান করবে কেনিয়া দল এবং একই ভেন্যুতে পাকিস্তান এ দলের বিপক্ষে পাঁচটি ওয়ানডে খেলবে সফরকারীরা।
কেনিয়া কোচ স্টিভ টিকোলো বলেন, তার দল ক্রিকেট ছাড়া অন্য সব বিষয় দূরে রাখতে চায়।
সাংবাদিকদের এক সময় কেনিয়া দলের অধিনায়কত্ব করা টিকোলো বলেন, ‘বাইরের সকল ইস্যু আমরা ভুলে যেতে চাই।’
‘রাজনীতি কিংবা অন্য যে কোন বিষয় নিয়েই আমরা আলোচনা করতে চাইনা। আপনি একজন ক্রিকেটার হলে আপনি কেবলমাত্র ক্রিকেট খেলবেন এবং আমরা এখানে খেলতে এসেছি, অন্য কিছুর জন্য নয়।’
তার দলের এই সফর অন্য দলগুলোর দরজাও খুলে দিতে পারে বলে উল্লেখ করেন টিকোলো।
‘এখানে পৌছার পর থেকে এ পর্যন্ত তারা আমাদের যেভাবে দেখাশোনা করেছে তাকে অবশ্যই বেশ ভাল বলতে হবে। সুতরাং অন্য দলগুলোর ও এখানে আসা ও ক্রিকেট খেলা উচিৎ।’
‘আপনি বিশ্ব ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে চাইলে এমনটাই হওয়া উচিৎ।’
স্টেডিয়ামস্থ দোকান ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ করে দেয়াসহ এই সিরিজের জন্য ব্যপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ কেরেছে পিসিবি। অবশ্য খেলা দেখার জন্য দর্শকরা মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন।
নিরাপত্তা শংকার কারনে ২০১২ ও ২০১৩ সালে দুইবার চেস্টা করেও বাংলাদেশকে আনতে পারেনি পিসিবি।
১৩, ১৫, ১৬. ১৮ ও ২০ ডিসেম্বর চারটি ম্যাচ খেলবে কেনিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *