সেরেনার স্বামীর যে লেখা মন ছুঁয়ে নিল সবার

Slider বিচিত্র

194008_bangladesh_pratidin_ALEXIS_bd

মা হওয়ার মাত্র ১০ মাসের মধ্যে শনিবার অল ইংল্যান্ড ক্লাবে ফাইনাল খেললেন সেরেনা উইলিয়ামস। কিন্তু জার্মানির অ্যাঞ্জেলিক কের্বারের কাছে হেরে অষ্টমবারের মতো উইম্বলডন জেতা হলো না তার।

পারলেন না রূপকথার গল্প লিখে মার্গারেট কোর্টের সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্ল্যাম (২৪টি) জয়ের রেকর্ড স্পর্শ করতে।
২০০৮-এরপর এই প্রথম উইম্বলডনের ফাইনালে পরাজিত সেরেনা। কিন্তু তার স্বামী ও রেডিটের সহ-কর্ণধার অ্যালেক্সিস ওহানিয়ান জয় করে নিলেন হৃদয়। স্ত্রী’কে নিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটা পোস্ট করেছেন তিনি। সেরেনার এই হারকে তিনি দেখলেন অন্যভাবে। কোর্টে ফেরার লড়াইয়ের শুরু হিসেবেই দেখলেন তিনি।

অ্যালেক্সিস ইনস্টা পোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের কন্যা সন্তান জন্মানোর পর সেরেনার অস্ত্রোপচার হয়। আমি অস্ত্রোপচারের পর সেরেনাকে চুমু দিয়ে গুডবাই বলেছিলাম। জানতাম না যে, ও ফিরে আসবে।

আমরা চেয়েছিলাম ও বেঁচে থাকুক। আর ১০ মাস পর ও উইম্বলডন ফাইনালে।
‘অ্যাঞ্জেলিক কের্বারকে আমার শুভেচ্ছা। সেরেনা দ্রুত আবার একটা ট্রফি ছুঁয়ে দেখবে। কিন্তু ওর সেরা ট্রফিটা বাড়িতে অপেক্ষা করছে। আমাদের পরিবার জানে ও আরও অনেক ট্রফি জিতবে। ও সবে শুরু করেছে। আমি অত্যন্ত গর্বিত। ‘ কোর্টে ফিরে এতদূর আসতে পেরে খুশি হয়েছেন সেরেনা। জয়ের পর বলছেন, সব মায়েদের জন্য এই খেলাটা উৎসর্গ করলেন তিনি।

গত সেপ্টেম্বরে সেরেনার কন্যা অলিম্পিয়া এই পৃথিবীর আলো দেখেছিল। কিন্তু বছর পঁয়ত্রিশের সেরেনা গর্ভাবস্থায় আক্রান্ত হয়েছিলেন নানা জটিলতায়। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েই সেরেনা জিতেছিলেন।

সেরেনা মা হওয়ার পর লিখেছিলেন যে, জরুরী অবস্থায় তার কন্যার জন্ম হয়েছিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমেই। আচমকাই নবজাতকের হৃদস্পন্দন কমে গিয়েছিল। এমনকি সন্তান জন্মানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেরেনা একাধিক শারীরিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছিলেন।

রক্ত জমাট বেধে তার ফুসফুসে ঢুকে গিয়েছিল। সেরেনার ফুসফুসের সমস্যা দীর্ঘদিনের। এমনকি তার তলপেটেও রক্ত জমাট বেধে যায়। শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে রীতিমতো কষ্ট হচ্ছিল সেরেনার। এরপর ফের তার অস্ত্রোপচার হয়েছিল। এমনকি টানা ছদিন সেরেনা ছিলেন হাসপাতালের এমার্জেন্সি ইউনিটে। ডাক্তারদের প্রচেষ্টায় সুস্থ জীবন ফিরে পান তিনি। বাড়ি ফিরেও ছয় সপ্তাহ সেরেনা বিছানায় শুয়ে ছিলেন। -ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *