মধ্যবয়সী দুই মহিলার লাশ উদ্ধার

Slider নারী ও শিশু

310103_142

নিখোঁজ হওয়ার পাঁচদিন পর নার্গিস আক্তার (৪২) ও ময়না বেগম (৫০) নামের দুই মধ্যবয়সী নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা থেকে তারা নিখোঁজ হয়েছিলেন।

শুক্রবার বেলা একটায় উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকার আওনা চকের একটি পুকুর থেকে ওই দুই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত নারীদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তারা পরস্পর বান্ধবী ছিলেন। নার্গিসের বড় ছেলে তানভীর আহমেদের অভিযোগ, তার মা নার্গিস আক্তার ও মায়ের বান্ধবী ময়না বেগমকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।

নার্গিস আক্তার উপজেলার যন্ত্রাইল গ্রামের ইমান আলীর এবং ময়না বেগম পাশের আজিজপুর গ্রামের জামাল খানের স্ত্রী।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা একটায় স্থানীয় এক নারী পুকুরে পানি আনতে গিয়ে ওই দুই নারীর লাশ ভেসে থাকতে দেখেন। পরে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নবাবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, লাশ দুটি ফুলে উঠেছে এবং পচন ধরেছে। তাই কোনো কিছু বোঝা যাচ্ছে না। তবে এটা হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

নার্গিস আক্তারের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ৯ এপ্রিল সন্ধ্যার পর নার্গিস আক্তারের মুঠোফোনে একটি ফোন আসে। এ সময় নার্গিসের বাড়িতে ময়না বেগম উপস্থিত ছিলেন। মুঠোফোনে কথা শেষ হওয়ার পর তারা দুজন ঘর থেকে বের হন। পরে নার্গিসের মুঠোফোনের সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। ময়নার মুঠোফোন খোলা থাকলেও কেউ ফোন ধরেনি। তাদের খুঁজে না পেয়ে ১০ মার্চ রাতে নার্গিসের ছেলে তানভীর আহমেদ ওই দুজনের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

নার্গিসের বড় ছেলে তানভীর আহমেদ বলেন, তার মা নার্গিস বেগম ও মায়ের বান্ধবী ময়না বেগমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার মাকে তার বাবা ইমান আলী হত্যা করেছেন বলেও তানভীর অভিযোগ করেন। তানভীর বলেন, নয় বছর ধরে মায়ের সঙ্গে তার বাবার দ্বন্দ্ব চলছে। তার বাবা এ বাড়িতে থাকেন না। পাঁচ বছর আগে বাড়িতে এসে তার মাকে (বাবা ইমান আলী) বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। এ সময় তানভীর তার মাকে বাঁচিয়েছিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় তাঁর বাবা মাকে হত্যার হুমকিও দেন। তবে লোকলজ্জার ভয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের এ বিষয়টি কাউকে জানাননি বলে জানান তানভীর।

ময়না বেগমের মেয়ে শিপন আক্তার বলেন, ৯ মার্চ সন্ধ্যার দিকে তার মা ময়না বেগম বাড়ি থেকে বের হন। সন্ধ্যা ছয়টায় মায়ের সাথে তার কথা হয়। এর এক ঘণ্টা পর একাধিকবার ফোন দিলেও তার মা ফোন ধরেননি। তবে তার মায়ের সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই বলে জানান শিপন। তার মাকে যাঁরা হত্যা করেছেন, তাদের শনাক্ত করে ফাঁসি দেওয়ার দাবি জানান শিপন আক্তার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *