ষ্টাফ করেসপেন্ডেন্ট, গাজীপুর অফিস: আসন্ন গাসিক নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রাপ্ত গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের প্রধান ফ্যাক্টর একই ইউনিটের সভাপতি ও সাবেক টঙ্গী পৌর মেয়র আজমত উল্লাহ খান সহ দলের সিনিয়র নেতারা ও কাউন্সিলর পদে দলীয় মনোনয়ন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট আজমত উল্লাহ খান ও দলের সিনিয়র নেতারাই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের জন্য এখন বড় ফ্যাক্টর।
সাধারণ ভোটাররা বলছেন, আজত উল্লাহ খান মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি সঙ্গত:কারণেই ক্ষুব্ধ হতে পারেন। আর আজমত উল্লাহ খানকে ম্যানেজ করে মাঠে নামাতে না পারলে জাহাঙ্গীর আলমের জন্য বিজয়ী হতে অসুবিধা হতে পারে। জাহাঙ্গীর আলম যখন এই সমস্যা সমাধানে ব্যস্ত তখন মহানগরের সকল ওয়ার্ডে দলীয় কাউন্সিলর মনোনয়ন নতুন একটি সমস্যার সৃষ্টি করেছে। দলীয় কাউন্সিলর মনোনয়ন বিষয়ে আজমত উল্লাহ খান গ্রামবাংলানিউজকে বলেছেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে মহানগরের দলীয় মনোনয়ন দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিতভাবে তার জানার কথা। কিন্তু তিনি বলছেন জানেন না। এটা আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন নয় বলে জানান আজমত উল্লাহ খান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ সমর্থিত একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন দেয়ার কারণে মনোনয়ন বঞ্চিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা মনক্ষুন্ন হয়েছেন। এতে দলীয় কোন্দল বেড়ে গেছে। তা ছাড়া আজমত উল্লাহ খান সমর্থিত কোন কাউন্সিলর প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বলেও জানা যায় নি। সুতরাং কাউন্সিলর মনোনয়ন জাহাঙ্গীর আলমের জন্য একটি বড় বাঁধা হয়ে গেছে বলে মনে করছেন দলীয় কর্মীরা।
পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, অতিসম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সরকারী অনুষ্ঠানে গাজীপুর আওয়ামীলীগের অনেক সিনিয়র নেতা অনুষ্ঠানের কাছাকাছি থাকলেও জাহাঙ্গীর আলমের অনুষ্ঠানে যোগদান করেনি। যোগদান না করার তালিকায় মন্ত্রী ও এমপিও রয়েছেন। তা ছাড়া ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজে একটি অনুষ্ঠান দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। একটি ছিল কলেজের ও আরেকটি ছিল জাহাঙ্গীর আলমের আয়োজনে।
সব মিলিয়ে জাহাঙ্গীর আলম পন্থীদের দেয়া দলীয় কাউন্সিলর মনোনয়ন ও সিনিয়র নেতাদের ম্যানেজ করা একটি বড় ফ্যাক্টর হয়ে গেছে। সময় বলে দিবে জাহাঙ্গীর আলম কি ভাবে এটা মোকাবেলা করেন। তবে দলীয় লোকজন বলছেন, যে কোন মূল্যে আওয়ামীলীগ নৌকা প্রতীকে ভোট দিবে। এবং নৌকাকে বিজয়ী করতে যা যা করা দরকার, তাই করবে। এ ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ ঐক্যবদ্ধ বলে দাবী দলটির।