ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফের পথে মহিলারা

Slider সারাবিশ্ব

 

imageরাজকোষে তালা। এ দিকে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবার মিছিল। মিছিলের মুখ সেই মেয়েরাই। সম্ভ্রম আদায় নয়, লড়াইটা বরং তা ছিনিয়ে নেওয়ার। স্লোগান উঠল নারীর ক্ষমতায়ন আর অধিকার রক্ষার দাবিতেও। লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে শুরু করে নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া— শনিবার দিনভর দেশের অন্তত ২০০টি শহরে ফের স্লোগান উঠল আদতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পেরই বিরুদ্ধে।

‘নয়া প্রেসিডেন্টের হাতে আমেরিকা নিরাপদ নয়’— এমন একটা বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে পা রাখার দিনেই। বিক্ষোভে এত বিপুল সংখ্যক মহিলার জমায়েত এর আগে কখনও দেখেনি আমেরিকা। শনিবারের ছবিটা সেটাও ছাপিয়ে গেল। আম-মহিলাদের সঙ্গে এ বার লস অ্যাঞ্জেলেসের মিছিলে পা মেলালেন অ্যাডেল, নাতালি পোর্টম্যান, জেনিফার লরেন্স, ভিওলা ডাভিস, স্কারলেট জোহানসনের মতো হলিউড তারকারাও।

ট্রাম্প-জমানায় কতখানি আর কোথায় কোথায় বিপন্ন দেশ, এ বার তা-ও স্পষ্ট হয়ে গেল প্ল্যাকার্ডে-স্লোগানে। প্রশ্ন উঠল ট্রাম্পের অভিবাসন থেকে শুরু করে গর্ভপাত নীতি, এলজিবিটি-দের অধিকার রক্ষায় প্রশাসনের উদাসীনতা নিয়েও।

ট্রাম্প-বিরোধী মিছিলে এ দিন মিশে গেল #মিটু-ও। সোশ্যাল মিডিয়ার উঠোন পেরিয়ে যৌন নিগ্রহের প্রতি জোরালো প্রতিবাদ শোনা গেল রাজপথ থেকে। সমাবেশের মঞ্চে দাঁড়িয়েই নাতালি পোর্টম্যান জানালেন, ১৩ বছর বয়সে প্রথম বার অভিনয়ের সময় থেকেই তিনি নিগ্রহের শিকার হলিউডে। ইদানীং যেন তা আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে। সমাজের মানসিকতায় তাই এ বার যুগান্তকারী বদলের দাবি জানালেন অ্যাকাডেমি-পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী। টিভি সিরিয়ালে দাপুটে গিন্নির ভূমিকায় অভিনয় করেন ইভা লঙ্গোরিয়া। তিনিও বললেন, ‘‘বাস্তব দুনিয়াটা মেয়েদের পক্ষে আদৌ তেমন সহজ নয়। তার উপর ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা মানুষেরাই যখন যুক্তি-তক্কো আর ন্যায়বিচারের থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকেন, তখন রাস্তায় নামতেই হবে।’’

 

ইভা কারও নাম করেননি। কিন্তু প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে গোলাপি রঙের ‘পুসি হ্যাট’ পরে কাল যাঁরা রাজপথ দাপালেন, তাঁদের একাংশ ট্রাম্পের ‘ইমপিচমেন্ট’-ও দাবি করলেন। বেলা গড়াতেই দেশের একাধিক মিছিলে এ দিন পুরুষদেরও অংশ নিতে দেখা যায়। ক্যাসপার, কেমব্রিজ, ম্যাসাচুসেটস, সাউথ ডাকোটা, হিউস্টনে শহরে আরও বড় মিছিলের আয়োজন চলছে।

শনিবার ওয়াশিংটনের বিক্ষোভে যোগ দেন প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট নেত্রী ন্যান্সি পেলোসি, ডেমোক্র্যাট সেনেটর কিরস্টেন গিলিব্র্যান্ডের মতো ব্যক্তিরাও। তাঁদের দাবি, দেশ জুড়ে ট্রাম্পের প্রতি অনাস্থা আর আশাভঙ্গের ছবিটা দিন-দিন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

যাঁকে নিয়ে এত কিছু, সেই ট্রাম্প যদিও স্বমেজাজেই। কাউকে কোনও জবাবদিহি নয়, কাল দিনের শেষে প্রেসি়ডেন্ট শুধু ছোট্ট একটা টুইট করেন— ‘‘মহান আমার দেশ। আমেরিকায় এখন দারুণ আবহাওয়া। মিছিলে অংশ নিতে চাওয়া সব নারীর কাছেই আজ যথার্থ একটা দিন।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *