হবিগঞ্জ; নির্বাচিত হওয়ার ১৫ মাস পর হবিগঞ্জ পৌরসভার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন টানা তিন বারের নির্বাচিত মেয়র আলহাজ জি কে গউছ। দায়িত্বগ্রহণ করে মহান স্রষ্টার কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন তিনি।
গতকাল দুপুর ১টার দিকে তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র দিলীপ দাস। এর আগে ২০১৫ সালের ৩০শে ডিসেম্বর কারাগারে থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। পৌরসভার সচিব নুরে আলম সিদ্দিকী বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন। জিকে গউছ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে দলীয় নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে পৌরসভা কার্যালয়ে যান নির্বাচিত এ মেয়র। মেয়র গউছ প্রয়াত অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলার আসামি হিসেবে কারাগারে থাকায় ২০১৬ সালের ২০শে মার্চ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ২০১৭ সালের ৪ঠা জানুয়ারি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। ২২শে জানুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাময়িক আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন জিকে গউছ। পরে ২৩শে জানুয়ারি গউছের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। ৩০শে জানুয়ারি আদালত শুনানি শেষে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রাখেন। এই আদেশের ফলে মেয়র জি কে গউছকে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে আইনগত আর কোনো বাধা ছিল না। কিন্তু রহস্যজনক কারণে গউছকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের চিঠি আসতে প্রায় পৌনে দুই মাস সময় অতিবাহিত হয়। ২০০৫ সালের ২৭শে জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচ জন। এই হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১০ বছর পর ৩য় সম্পূরক চার্জশিটে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মেয়র জি কে গউছকে আসামি করা হয়। ২০১৪ সালের ২১শে ডিসেম্বর কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশিট আদালতে গৃহীত হলে ২৮শে ডিসেম্বর স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেন গউছ। কারাগারে থাকা অবস্থায় ২০০৪ সালের ২১শে জুন সুনামগঞ্জে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলার ঘটনায় দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর পর গউছকে শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়।