লাথী মেরে তোর হার্টের রীং বের করে ফেলবো!

Slider সারাদেশ
grambanglanews24.com
grambanglanews24.com

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনজার্চ মোহাম্মদ কামরুল ফারুকের অশালীন আচরনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে কোটালীপাড়ার এক সাংবাদিক অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত ১৭ মার্চ ২০১৮ ইং তারিখে ইয়াবা সহ কয়েকজন আসামীকে গ্রেফতার করেন কোটালীপাড়া থানা পুলিশ।

এ ব্যাপারে সাংবাদিক মিজানুর রহমান বুলু তার ফেইসবুক আইডি থেকে স্ট্যাটাস দেয় যে, কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুল ফারুক যোগদান করে মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করেছেন, প্রতিদিনই মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করছেন, গত শুক্রবার ২৭০ পিচ ইয়াবা সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছেন। উক্ত স্ট্যাটাসের উপর সাংবাদিক প্রমথ রঞ্জন সরকার মন্তব্য করেন, শুধু মাদক সেবন ব্যাক্তিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, মাদক আমদানীকারীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না, ইদানিং প্রত্র-পত্রিকায় দেখা যায় মাদক ব্যবসার সাথে পুলিশ সদস্যরাও জড়িত থাকে। এই মন্তব্য করায় ভাঙ্গারহাট নৌ-তদন্ত কেন্দ্রের এস আই আলী আকবর মাতব্বর কোটালীপাড়া থানা অফিসার ইনচাজের্র নির্দেশে প্রমথ রঞ্জন সরকারকে ভাঙ্গারহাট ফাড়ীতে ডাকিয়ে নেন এবং তার কাছে থাকা মোবাইল ফোনটি নিয়ে নেয়। এ ঘটনার পর ফাড়ীতে থাকা অবস্থায় রাত অনুমান ৯ ঘটিকার সময় কোটালীপাড়া থানার এ এস আই রবিন মজুমদার ও এ এস আই মনির ভাঙ্গারহাট ফাড়ীতে উপস্থিত হয়ে প্রমথ রঞ্জন সরকারকে বলেন- ওসি স্যার আপনাকে থানায় যেতে বলেছেন। কারণ জানতে চাইলে ও তার অসুস্থ্যতার কথা জানালে এ এস আই রবিন মজুমদার অফিসার ইনচার্জ সাহেবের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। পরে ফোনটি সাংবাদিক প্রমথ রঞ্জন সরকারকে দিয়ে বলেন- ওসি স্যারের সাথে কথা  বলেন। প্রমথ রঞ্জন সরকার মোবাইল ফোনে কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে অফিসার ইনচার্জ কামরুল ফারুক অশালীন ভাষায় গালাগাল শুরু করেন। মা-বাবা-জাতি তুলে গালাগাল দিয়ে থানায় উপস্থিত হতে বলেন। অফিসার ইনচার্জ সাহেবকে সাংবাদিক প্রমথ তার হার্টে রীং পরানো হয়েছে জানিয়ে সকালে থানায় যাওয়ার কথা বলেন। এ সময় অফিসার ইনচার্জ কামরুল ফারুক আরও ক্ষিপ্ত হয়ে নোংরা ভাষায় গালি দিয়ে বলেন- লাথী মেরে তোর হার্টের রীং বের করে ফেলবো।

এ ঘটনার পর সাংবাদিক প্রমথ রঞ্জন সরকার গত ১৯ মার্চ ২০১৮ ইং তারিখে অফিসার ইনচার্জ কামরুল ফারুকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার গোপালগঞ্জ বরাবরে দায়ের করেন। তখন কোটালীপাড়া ও গোপালগঞ্জের ১৪/১৫ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে সাংবাদিক প্রমথ রঞ্জন সরকার বলেন- অফিসার ইনচার্জ কামরুল ফারুকের এহেন আচরনে আমার মান-সম্মানে প্রচন্ডভাবে আঘাত হেনেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *