সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ফসল রক্ষা বাঁধে ওঠার অভিযোগে এক শিশুর হাতের ৪টি আঙ্গুল কাঁচি দিয়ে কেটে দিয়েছে প্রকল্পের পিআইসি শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের সাবেক যুবলীগের আহ্বায়ক অদুদ মিয়া।
আহত শিশুটিকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত শিশুটির নাম ইয়াহিন (৭)। সে তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর দক্ষিন ইউনিয়নের সুলেমানপুর গ্রামের শাহানুর মিয়ার ছেলে এবং সুলেমানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেনীর ছাত্র।
শিশুটির পিতা শাহানুর মিয়া ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকেলে ইয়াহিন গরুর ঘাস কাটার জন্য মহালিয়া হাওর পাড়ে ময়নাখালি বাঁধের উপর দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় শিশুটির পা পিছলে পড়ে বাঁধের নীচে পড়ে যায়। এ সময় নির্মানাধীন বাঁধের ড্রেসিং করা কাজের সামান্য একটু ক্ষতি হয়। বাধেঁর ক্ষতি হওয়ায়, ময়নাখালি বাঁধের ২৮ নং পিআইসি সুলেমানপুর গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে অদুদ মিয়া ইয়াহিনের হাতে থাকা কাচিটি কেরে নিয়ে শিশুটির হাতের ৪টি আঙ্গুল কেটে দেয়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে লোকজনকে সন্ধ্যায় চিকিৎসার জন্য তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তার আগাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিŤসার জন্য আহত শিশুকে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।
এ বিষয়ে মহালিয়া হাওরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মানাধীন ময়নাখালি ফসল রক্ষা বাঁধের ২৮ নং পিআইসি অদুদ মিয়া জানান, তিনি শিশু ইয়াহিনকে আঘাত করেননি। শিশুটির হাতের আঙ্গুল কে কাটলো তার কোন সুদুত্তর দিতে পারেননি।
তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর জানান, শিশুর আঙ্গুল কাটার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ চেষ্টা করছে।