খালেদার আপিলের শুনানি আজ

Slider রাজনীতি

12

 

 

 

 

 

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের বিরুদ্ধে করা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আপিলের ওপর শুনানির জন্য আজ বৃহস্পতিবার দিন ধার্য রয়েছে।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবারের কার্যতালিকায় আবেদনটি (ক্রিমিনাল আপিল নং ১৬৭৬/২০১৮-বেগম খালেদা জিয়া ওরফে খালেদা জিয়া বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য) ছয় নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

এর আগে, গত মঙ্গলবার বিকেল সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদার জিয়ার আইনজীবী দলের সদস্য ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ আপিল (ক্রিমিনাল আপিল নং- ১৬৭৩/১৮) দায়ের করেন। এরপর শুনানির দিন ধার্য করা হয়।

নথিপত্রসহ ১২২৩ পৃষ্ঠার খালেদা জিয়ার ওই আপিল আবেদনে ফাইলিং ল’ইয়ার হিসেবে আব্দুর রেজাক খানের নাম রয়েছে। এছাড়া আপিলের শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মধ্যে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জামির উদ্দিন সরকার, এ জে মোহাম্মদ আলী, খন্দকার মাহবুব হোসেনসহ দেশের খ্যাতনামা আইনজীবীরা অংশ নিতে পারেন বলে জানা গেছে।

আপিলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ প্রদান ও যাবতীয় লেনদেনের সঙ্গে খালেদার জিয়ার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই; ট্রাস্টের কোনো অর্থ লেনদেন হয়নি; ওই অর্থ বেড়ে বর্তমান তিন গুণ হয়েছে এমন ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালেদা জিয়ার খালাস চাওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান। খালেদা জিয়ার পাশাপাশি তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানসহ মামলার অন্য পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রায়ে খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা জরিমানাও করা হয়েছে। রায় ঘোষণার পরপরই কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগার ভবনে। সেই দিন থেকে এখনো কারাগারেই রয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

এরপর রায় ঘোষণার ১১দিন পর গত সোমবার বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা রায়ের সার্টিফাইড কপি বা অনুলিপি হাতে পান। পরদিন তারা আপিল আবেদন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *