রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা আজ

Slider রাজনীতি

091624A_hasina

 

 

 

 

শিক্ষার নগরী রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী জনসভা আজ বৃহস্পতিবার। তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের লক্ষ্যে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে বিভাগীয় শহরগুলোতে জনসভায় অংশ নিচ্ছেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা রাজশাহীতে নির্বাচনী সভা আজ। এর আগে ৩০ জানুয়ারি সিলেট থেকে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ৮ ফেব্রুয়ারি বরিশালে জনসভা করেন তিনি।

সাত বছর আগে রাজশাহীর এই ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে দলীয় জনসভায় ভাষণ দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর বাগমারা, ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চারঘাটে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেন তিনি। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর পবায় দলীয় জনসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহীবাসীর জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন উপহার নিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নতুন আটটি থানাসহ ২৫ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে রাজশাহী উৎসবের শহরে পরিণত হয়েছে। সাজসাজ রব নগরীজুড়ে। সাঁটানো হয়েছে রঙ-বেরঙের পোস্টার ও ব্যানার। সড়কে একটু পর পর দৃষ্টিনন্দন তোরণ বসানো হয়েছে। রাতে চোখে পড়ছে নয়নাভিরাম আলোকসজ্জা। এসব আয়োজন প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে। রাজশাহীতে আসার আগে সকালে নাটোরে পা রাখবেন তিনি। বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুরে কাদিরাবাদ সেনানিবাসে একটি অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেবেন।

শুধু রাজশাহী মহানগরী নয়, শহর ছেড়ে গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে এমন সাজ সাজ রব। সবখানেই বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সফল করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। নাটোর থেকে জনসভায় যোগ দিতে সড়কপথে আসবেন প্রধানমন্ত্রী।

রাজশাহীর ঐতিহাসিক জনসভার মাঠ মাদ্রাসা ময়দান বঙ্গবন্ধুকন্যাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। মাঠের ইট-সিমেন্টের স্থায়ী মঞ্চের সামনে কাঠ বসিয়ে নৌকার আদল দিয়ে মঞ্চ বানানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় প্রধানমন্ত্রী এই মাঠের জনসভায় পৌঁছে ভাষণ দেবেন। আগামী সংসদ ও সিটি নির্বাচনসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনাও দেবেন।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন জানিয়েছেন, সব আয়োজন প্রধানমন্ত্রীর জন্য। দলের নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে সব আয়োজন শেষ করেছেন। জনসভায় কমপক্ষে ৫ লাখ লোকের সমাগম হবে বলে আশা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *