বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কার পার্থক্য কোথায়?

Slider খেলা

3202e9d1cc32c0e860c52d7f4e276190-5a85b98a7e898

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পা দুটো যেন ভারী হয়ে গেছে মাহমুদউল্লাহর। পরাজয়ের ক্লান্তিতে শরীরটা সামনে এগোতে চায় না। তবুও এগোতে হয়। ক্রিকেটীয় সৌজন্য মেনে খেলা শেষে সার বেধে আসা প্রতিপক্ষে খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফদের সঙ্গে হাত মেলাতে হয়। নতশিরে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয়, হতাশামাখা মুখটা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনেও বসতে হয়।
জিততে থাকলে অধিনায়কত্বের ভার পাখির পালকের চেয়ে হালকা অনুভব হয় অধিনায়কের। আর হারতে থাকলে সেটিই হয়ে যায় ভারী, ভীষণ ভারী। নেতৃত্বের এ ভার কতটা ভারী—মাহমুদউল্লাহ এ কদিনে বুঝেছেন। আকস্মিকভাবে পেয়েছেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব। টেস্ট সিরিজ হেরেছেন, হারের শঙ্কায় টি-টোয়েন্টিও। অথচ এক বছরও হয়নি, এই বাংলাদেশ ১-১, ১-১, ১-১—ক্রিকেটের তিন সংস্করণে সিরিজ ড্র করে ফিরেছিল শ্রীলঙ্কা থেকে। আর এবার তারাই দেশের মাঠে আটকা পড়েছে টানা হারের বৃত্তে।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের পার্থক্যটা কোথায় যে বাংলাদেশ কোনো সংস্করণে পেরেই উঠছে না এবার? একাদশ নির্বাচন, গেমপ্ল্যান, একের পর এক চোটাঘাত—অনেক কারণ খুঁজে পেতে পারেন। মাহমুদউল্লাহর চোখে পার্থক্য ধরে পড়েছে একটাই, ‘কখনো ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হচ্ছে, কখনো বোলাররা। আমরা এক সঙ্গে জ্বলে উঠতে পারছি না। এটাই মূল কারণ, এর বাইরে কোনো কারণ নেই।’
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল বাংলাদেশ জিততে পারেনি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায়। মিরপুর টেস্টেও তা-ই। আজ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটসম্যানরা ভালো করলেও ডুবিয়েছেন বোলাররা। টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোর গড়েও হারায় মাহমুদউল্লাহর কাঠগড়ায় বোলাররা, ‘২০০-এর ওপরে রানটা গেলে ভালো হতো। কিন্তু এটা ভালো স্কোর। ব্যাটসম্যানরা তাদের কাজ করেছে। বোলাররা ভালো লেংথে বল করতে পারেনি। শুরুতেও উইকেট নিতে পারেনি। এই উইকেটে ঠিক লেংথে বোলিং করা গুরুত্বপূর্ণ। উইকেট ভালো ছিল। বল ভালো ব্যাটে আসছিল। আমরা ভালো লেংথে বোলিং করতে পারিনি।’
হতাশার শ্রীলঙ্কা সিরিজে আর একটা ম্যাচই বাকি, ১৮ফেব্রুয়ারি, সিলেটে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান-বোলাররা একসঙ্গে আলো ছড়িয়ে শেষটা রঙিন করে রাখবেন না কি হতাশার আঁধারেই ডুবে থাকবেন, বিষয়টা তাঁদের ওপরই ছেড়ে দেওয়া হলো!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *