সিলেটে প্রেমিক-প্রেমিকার আত্মহত্যা, নেপথ্য কারন খুজতে তদন্তে পুলিশ

Slider নারী ও শিশু সিলেট
IMG_2_153814-picsayসিলেট প্রতিনিধি :: সিলেট নগরীর প্রবেশমুখ নামে খ্যাত সোবহানীঘাট পয়েন্টের ‘হোটেল মেহেরপুর’ থেকে উদ্ধার হওয়া ‘প্রেমিক-প্রেমিকার’ লাশ সিলেট ওসোমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে রয়েছে এখনো। আজ লাশের সুরতাহাল  (পোস্টমর্টেম) শেষে মরদেহ দুটি তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সিলেট কোতয়ালী থানার এস আই খোকন দাস জানান, ‘আমরা লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। পোস্টমর্টেমের পর লাশগুলো আত্মীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মেয়েটির আত্মীয় আমাদের সাথে ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছেন। তবে ছেলেটির আত্মীয়দের সাথে এখনো যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।’
তিনি আরো জানান, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হিন্দু এই তরুণ-তরুণী একে অপরকে ভালোবাসতেন। তরুণীর বিয়ে অন্যত্র ঠিক করেছেন তাঁর পরিবারের লোকজন। বিষয়টি তাঁদের প্রেমে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। সেটি তাঁরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি। সেজন্য হয়তো দু’জন একসাথে আত্মহত্যা করেছে। তবে হোটেলের দ্বিতীয় তলার ২০৬ নাম্বার কক্ষটিতে তরুণের লাশ ঝুলানো ছিলো; আর তরুণীর লাশ বিছানার মধ্যে।’
উল্লেখ্য, তরুণীর নাম রুমী পাল, গ্রামের বাড়ী জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট উজানীনগর গ্রামের মিলন পালের মেয়ে। আর তরুণ মিন্টু দেব; একই উপজেলার জগন্নাথবাড়ি গ্রামের মতিলাল দেবের ছেলে। ইতিমাধ্যে পুলিশ তদন্তের স্বার্থে হোটেলের রেজিস্টার খাতা জব্দ করেছে। পাশাপাশি হোটেলে থাকা দু’জন লোককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
হোটেল মেহেরপুরে প্রেমিক-প্রেমিকার আত্মহত্যা সম্পর্কে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে – মিন্টু দেব প্রথমে রুমী পালকে হত্যা করেছেন। পরে তিনি রুমীর ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে অাত্মহত্যা করেছেন। তবে বিষয়টি এখনো খোলাসা হয়নি। পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। ‘আজ পোস্টমর্টেম পরে বোঝা যাবে হোটেল মেহেরপুরে আসলে কি ঘটেছিলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *