দুটি গ্রামের মানুষের এক মাত্র যোগাযোগের মাধ্যম বাঁশের সাকো

Slider গ্রাম বাংলা ঢাকা

FB_IMG_1516588309664রাতুল মন্ডল, গফরগাঁও ময়মনসিংহ থেকে ফিরে

ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার বর্তমানে পাগলা থানার নিগÍয়ারী ইউনিয়নের মাখল কালদাইড় গ্রামের প্রায় ৫০০হাজার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাকু।

রাস্তার মাঝ পথে বাধা খরহতির খাল। এই খালটি পার হতে ব্যবহার করছে সেই আদি কালের সাকু। ঝুকি নিয়ে প্রতিদিন যেতে হয় এই গ্রামের বসাবাসরত মানুষকে কর্মস্থলে। শিক্ষার্থীরদের শুকনা মৌসমে বাঁশের সাকু দিয়ে চলাচল করলেও সামান্য বৃষ্টি হলে পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে যাতায়াতের অনুপযোগি হয়ে পড়ে। এই সাকুর উপর দিয়ে প্রতিদিন স্কুর,কলেজ,মাদ্রাসাসহ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাচলের জন্য চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যুগ যুগ ধরে ব্রীজ না থাকায় বর্ষা মৌসমে ২টি গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, দেশের স্বাধীনতার পরবর্তি সময়ে নির্বাচিত সকল চেয়ারম্যান গন এই খালের উপর ব্রীজটি করে দেয়ার আশ্বাস দিলেও ব্রীজটি হয়নি। পরবর্তীতে এই ব্রীজটি আর কোন দিন আর আলোর মুখ দেখেনি। ফলে যুগ যুগ ধরে মাখল ও কালদাইড় গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ অনেক কষ্ট করে জীবনের ঝুকি নিয়ে প্রতি দিন যেতে হয় তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে। গয়েশপুর মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সুমা আক্তর জানায়,বর্ষা মৌসমে পানির জন্য মাদ্রসায় যেতে পারি না।একই গ্রামের কৃষক আমির আলী জানায়, বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই আমাদের মাঝে ভয় বিরাজ করে,বর্ষা মৌসমে হাট-বাজারে অত্যন্ত কষ্ট করে যাতায়াত করতে হয়।সাংবাদিক হাফেজ আব্দুল আজিজ জানান,এসব এলাকায় গর্ভবর্তী মহিলাদেরও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকায় হাসপাতালে জরুরী ভিত্তিতে নেওয়া সম্ভব হয় না।যানবাহনের স্থলে কাঠের খাটিয়া দিয়ে আনা নেওয়ার একমাত্র ভরসা নৌকা। গফরগাঁও উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান আশ্রাব উদ্দিন বাদল জানান, এই খালের উপর ব্রীজ নির্মাণের প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এলাকাবাসীর আকুল আবেদন এই ব্রীজটি যেন অচিরেই নির্মাণ করে দুটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত উপযোগি করে তুলেন সংশ্লিট কর্তৃপক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *