মিস ইসরায়েলের সঙ্গে মিস ইরাকের সেলফি, তারপর…

Slider সারাবিশ্ব

152510miss-israel-miss-iraq-selfi

 

 

 

 

এক সেলফির কারণে জীবনটা হুমকির মুখে পড়েছে মিস ইরাকের। প্রাণনামের হুমকির মুখে গোটা পরিবার নিয়ে পালিয়ে যেতে হলো তাকে।

গতমাসে মিস ইউনিভার্স পিজেন্ট আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন মিস ইরাক সারাহ আইদান। সেখানে তিনি একটি সেলফি তুলেছিলেন মিস ইসরায়েল অ্যাডার গ্যানডেলসম্যানের সঙ্গে। আর ইসরায়েলি সুন্দরীর সঙ্গে ছবি তোলাই তার কাল হয়ে দাঁড়ালো।

এ ছবি অনলাইনে প্রকাশ করা হলে সারাহ ব্যাপক ঝামেলার মুখে পড়ে যান। পরে হাদাশট নিউজ চ্যানেলকে ২০ বছর বয়সী মিস ইসরায়েল জানান, এ ছবির কারণে পরিবারসহ ঝুঁকির মুখে পড়েন সারাহ। মিস ইউনিভার্স পিজেন্টে বিকিনিতে পোজ দেওয়ার কারণেও তার ওপর প্রাণনাশের হুমকি আসতে থাকে।

গ্যানডেলসম্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে জিউইশ ক্রনিকেল জানায়, এ ছবিগুলো অনলাইন থেকে সরিয়ে ফেলার জন্যে নানা জায়গা থেকে হুমকি পেতে থাকেন আইদান এবং তার পরিবার। তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এ পরিস্থিতিতে তারা পরিবারসহ ইরাক ত্যাগ করেছেন।

অন্তত পরিস্থিতি ঠাণ্ডা না হওয়া পর্যন্ত ইরাকে ফেরার কোনো ইচ্ছাই নেই তাদের।

মিস ইসরায়েলে জানিয়েছেন, আমেরিকার নেভাদার লাস ভেগাসে তাদের দেখা হয়। এ ঘটনার পর তারা দুজন যোগাযোগ ধরে রেখেছেন। ২৭ বছর বয়সী আইদান আমেরিকায় থাকেন।

তবে আইদান মিস ইসরায়েলকে জানিয়েছেন যে, ইনস্টাগ্রামে এ ছবি পোস্ট করার জন্যে তার মনে কোনো খেদ নেই। ছবিটির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, মিস ইরাক এবং মিস ইসরায়েলের পক্ষ থেকে শান্তি এবং ভালোবাসা।

ইসরায়েলের সুন্দরী অ্যাডার বলেন, এই ছবি ও ক্যাপশনের মাধ্যমে আইদান বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, শান্তির মধ্যে বসবাস করা সম্ভব। কিন্তু এত বিপদের পরও তিনি ছবিটি মুছে ফেলেননি। গ্যানডেলসম্যানও তার সঙ্গে আইদানের ছবিটি নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকউন্টে রেখে দিয়েছেন।

ইরাকের সঙ্গে ইসরায়েলের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। অন্যান্য সম্পর্কও যথেষ্ট বৈরি। তারই রেশ গিয়ে পড়েছে দুই সুন্দরীর বন্ধুত্বে।

সূত্র : এনডিটিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *