মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরাতে ৩০ সদস্যের যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি করেছে দুই দেশ। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রসচিব দুই দেশের পক্ষে কমিটিতে নেতৃত্ব দেবেন।
আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদুল হক ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রসচিব মিন্ট থোয়ের বৈঠকে এই কমিটি গঠন করা হয়।
গত ২৩ নভেম্বর মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে দেশটির স্টেট কাউন্সেলরের দপ্তরের মন্ত্রী চ টিন্ট সোয়ে ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরত পাঠাতে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেন। স্মারকে দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার কথা বলা হয়েছিল। তবে কবে সেই প্রক্রিয়া শেষ হবে, তা নিয়ে সময়সীমার উল্লেখ ছিল না।
২৩ নভেম্বরের চুক্তি অনুযায়ী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এই কমিটি গঠনের কথা ছিল এবং দুই মাসের মধ্যে অর্থাৎ ২৩ জানুয়ারি থেকে প্রত্যাবর্তন শুরু হওয়ার কথা ছিল।
মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির সঙ্গে মাহমুদ আলীর আলোচনার পর রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের সমঝোতা স্মারকটি সই হয়। রাখাইনের বাস্তুচ্যুত লোকজনকে ফিরিয়ে আনতে নিয়মতান্ত্রিক ব্যাপারে তাদের পরিচয় যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ১৯৯২ সালের চুক্তির আলোকে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছে বলে অং সান সু চির দপ্তরের ফেসবুক পেজে বলা হয়েছিল।
আজ কমিটি গঠন শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরাতে চুক্তির অগ্রগতি নিয়ে সন্তুষ্ট। প্রত্যাবর্তনের জন্য শিগগিরই কাজ শুরু হবে।
চলতি বছরে ২৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৫৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। এর আগে আরও প্রায় ৩ লাখ ৮৮ হাজার রোহিঙ্গা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে এসেছে। অর্থাৎ মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি।