“রূপসী বাংলা”
———-এহসানুর রহমান আক্তাবুর।
কী অপরূপ – তোমার সরূপ, মাতৃভূমি মাগো!
দিবস-রাতি – প্রীতির বাতি, জ্বেলে তুমি জাগো।
সবুজ মায়া – শ্যামল ছায়া, মেঠো পথের বাঁকে,
ভদুপুরে – বাঁশির সুরে, রাখাল ছবি আঁকে।
ফুলের বুকে – আপন সুখে, মৌমাছিরা হাসে, আকুল করা – হৃদয় ভরা,
সুবাস ভেসে আসে। কলকলিয়ে – বন দলিয়ে,
ছুটছে ঝর্ণাধারা, চোখ থেমে যায় – বনবীথিকায়,
রূপে পাগলপারা। রূপালি সব – মাছে সরব, নদীর মিষ্টি জলে,
ঢেউ মাড়িয়ে – দাঁড় বাড়িয়ে, পালের নৌকা চলে।
কলসি কাঁখে – নদীর বাঁকে, গাঁয়ের বধূ হাঁটে,
ছাগল ছানা – তানা-নানা, খেলছে মেঠো বাটে।
শস্য শিষে – থাকে মিশে, কৃষকের সুখ আশা,
সোনার মাটি – ফলায় খাঁটি, রবিশস্য খাসা।
পাটের আঁশে – স্বপ্ন হাসে, হাসে কৃষকের চোখ,
শস্য পাতে – ভোর প্রভাতে, শিশিরে ভেজা সুখ।
সবুজের রূপ – মন কাড়ে খুব, আকাশ মিশেছে নুয়ে,
নীলিমার নীল – সবুজে বিলীন, গাঁয়ের প্রান্ত ছুঁয়ে।
পাহাড়ের শির – আকুল অধীর, রূপের ঢালি নিয়ে,
সবুজের বুক – বিলায় যে সুখ, সবুজাভ প্রেম দিয়ে।
একতারা সুর – তান সুমধুর, বাউলের হাত সাধে,
আঁকাবাঁকা – সবুজ ঢাকা, মায়ায় তারে বাঁধে।
পুকুর পারে – লেবুর ঝাড়ে, দোয়েলের শিস শুনি,
রূপের ভূমে – চুমে চুমে, সবুজের বীজ বুনি।
রচনাঃ ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭।