‘যাদের পরীক্ষা খারাপ হয়েছে অথবা কোনো কারণে “এ প্লাস” হাতছাড়া হবে, তারা ইনবক্সে যোগাযোগ করো।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে একটি চক্র এভাবে ফলাফল পরিবর্তনের প্রলোভন দেখাচ্ছে।
ওই চক্রের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে শরীয়তপুরের অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক গত অষ্টম শ্রেণির সমাপনী (জেএসসি) ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষার প্রশ্ন সংগ্রহ করেছিলেন। এখন অনেকে ফল পরিবর্তনের বিষয়ে যোগাযোগ করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমারত হোসেন বলেন, যে চক্র ফেসবুকে বাচ্চাদের ফলাফল পরিবর্তন করার ঘোষণা দিচ্ছে, পুলিশ কেন তাদের আইনের আওতায় আনতে পারছে না? এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে এবং বই থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। শিক্ষার্থীরা যাতে এ প্রতারণার ফাঁদে পা না দেয়, সে জন্য ক্লাসে নোটিশ দেওয়া হবে।
শরীয়তপুরে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেসব ফেসবুক আইডির মাধ্যমে প্রশ্ন সংগ্রহ করেছে, এ রকম আটটি আইডির সন্ধান পেয়েছে। এগুলো হলো এমডি সিহান, হিমেল আবির, আহম্মেদ রাজিব বিডি, আহমেদ সজীব, সাফাতুর রহমান রাজ, এমডি মাহমুদ আবির খান, এইচএসসি ব্যাচ ২০১৯ ও এইচএসসি-এসএসসি এক্সামিনেশন ২০১৮।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ওই আইডিগুলোয় মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
একই বিষয়ে জেলা শহরের পালং তুলাসার গুরুদাস উচ্চবিদ্যালয়ের১০ জন জেএসসি পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তারা জানায়, প্রত্যেকে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে পরীক্ষার আগের দিন ও পরীক্ষা শুরু হওয়ার দুই ঘণ্টা আগে উত্তরসহ প্রশ্ন পেয়েছে। পরীক্ষার হলে গিয়ে হুবহু সেসব প্রশ্ন মিলে গেছে।
পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। বিটিআরসির সহযোগিতা নিয়ে এ চক্রকে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ চেষ্টা করছে।’
জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, প্রশ্ন ও উত্তর সরবরাহের অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।