একটা সময় ছিল, যখন স্কুলের মেয়েদের ব্যাগে বই-খাতার পাশাপাশি থাকত দড়ি। স্বাভাবিক কোনো দড়ি নয়, লাফানোর দড়ি।
এটি দিয়ে কিভাবে প্রয়োজনীয় ব্যায়াম করা যাবে, তা জানব আমরা। আগেই আমরা ব্যায়ামের জন্য প্রয়োজনীয় পোশাকের ব্যাপারে জেনেছি। আজ অন্য সব বিষয়ে জানব।
স্থান নির্বাচন
কংক্রিট বা টাইলসের মেঝে না হওয়াই ভালো। কার্পেটে ঢাকা মেঝে বা কাঠের মেঝে হলে ভালো। তবে সব থেকে ভালো হয় ঘাসযুক্ত মাঠ বা পার্ক।
দড়ির দৈর্ঘ্য নির্বাচন
নিজের উচ্চতা অনুযায়ী দড়ির দৈর্ঘ্য নির্বাচন করতে হবে। বেশি ছোট বা বড় হলেই সমস্যা তৈরি হবে। দড়ি অবশ্য নিজের সুবিধামতো ছোট বা বড় করে নেওয়া যায়।
কিভাবে লাফাতে হবে
পিঠ ও মাথা সোজা করে দাঁড়াতে হবে। দুই হাতে দড়ির দুই প্রান্ত ধরে দড়িটিকে পেছনে রাখতে হবে। তাড়াহুড়া না করে ধীরে ধীরে এক পা করে লাফাতে হবে। আর পেছনের দড়িকে মাথার ওপর দিয়ে সামনে থেকে এমনভাবে পায়ের নিচ দিয়ে আবার পেছনে নিতে হবে, যেন দড়ি পায়ে স্পর্শ না করে। প্রথমে গতি ধীর থাকলেও পরে তা দ্রুত করতে হবে। মিনিটে অন্তত ৭০ বার লাফানো যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ধীরে ধীরে গতি আরো বাড়াতে হবে। গতি বাড়িয়ে মিনিটে ৯০ থেকে ১২০ করতে হবে।
বেল জাম্প
শুরুতে দড়ি পেছন থেকে নিয়ে লাফানোর পর এবার দড়ি সামনে রেখে লাফাতে হবে (ঠিক আগের উল্টো)। এভাবে অবশ্য আগের মতো গতি পাওয়া যাবে না, তবে মিনিটে অন্তত ৭০ বার লাফাতে হবে।
রানিং স্টেপ স্কিপ
শুরুর মতো দড়ি পেছন থেকে নিয়ে লাফাতে হবে। তবে এ পদ্ধতিতে লাফানোর সময় হাঁটু যত সম্ভব ওপরে ওঠাতে হবে। এ অনুশীলনে পেটের নিচের অংশও যোগ হবে। এভাবে লাফানোর গতি মিনিটে কমপক্ষে ৮০ হতে হবে।