ঠিক বিজয়ের একদিন পর। ১৭ ডিসেম্বর।
এই দিনটিকে কেন্দ্র করেই নাটকের নামকরণ। কেন? এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাকে। প্রশ্নটাকে তিনি প্রশ্ন করেই রেখে দিলেন। বললেন, প্রশ্নের উত্তর জানা দরকার।
১৭ ডিসেম্বরে অন্তর্নিহিত রয়েছে অনেক গুলো প্রশ্ন। যে প্রশ্নের উত্তর ১৬ তারিখেই শেষ হয়ে যায় তারপর থেকেই শুরু হয় নতুন প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে ১৭ ডিসেম্বরে, তবে দর্শকেরা উত্তর খুঁজে পাবে এই ডিসেম্বরের ১৪ তারিখে; নাটক দেখার পরে। এমনটাউই ভাষ্য নির্মাতার।
মাসুদ উল হাসান এর গল্পে নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্না নির্মাণ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের নাটক ১৭ ডিসেম্বর।
১৬ ডিসেম্বর এদেশের মানুষ পায় বহুল কাঙ্ক্ষিত বিজয়। এর পর বাঙালি জাতি নতুন ভূ খণ্ডে বিশ্বের বুকে যাত্রা শুরু করে নতুন পরিচয়ে।
নির্মাতা বান্নাহ বলেন, একটি পরিবারের গল্প। যে পরিবারের মতাদর্শে রয়েছে সংঘর্ষ। পিতা স্বাধীনতা বিরোধী, ছেলে মুক্তিযোদ্ধা। এক সময় বাংলাদেশ নামের একটি দেশের জন্ম হয়। ছেলের আদর্শ প্রতিষ্ঠা পায়। ঘটনাক্রমেই গল্প স্পর্শ করে ১৭ ডিসেম্বরকে। যুদ্ধ না দেখিয়েই একটি নিরেট মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলা হয়েছে নাটকে। মুক্তিযুদ্ধের নাটক দর্শকেরা উপভোগ করবে নতুনভাবে। যা ইতোপূর্বে হয়নি।
১৭ ডিসেম্বর নাটকে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মনিরা মিঠু, শোয়েব মনির, ইভান সাইর, মুশফিক আর ফারহান, নিশাত সিদ্দিকা প্রিয়ম, মানিক।
নাটকটির শুটিং সম্পন্ন হয়েছে নারায়ণগঞ্জের একটি গ্রামে। এটি প্রযোজনা করেছেন ফখরুদ্দিন ছোটন। আগামী ১৪ ডিসেম্বর নাটকটি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন এটিএন বাংলায় প্রচারিত হবে রাত ১০ টা ৫৫ মিনিটে।