মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল খায়ের নাদিম জানান, পুলিশ তাঁর পরিবারকে খুঁজছে। এখন পর্যন্ত কারও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
রয়টার্সকে বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশে কোনো ধরনের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে আকায়েদ উল্লাহর সম্পর্ক ছিল না। তিনি গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে এসেছিলেন।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামিম আহসান বলেন, আকায়েদ উল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুকলিনে থাকতেন। তাঁর সঙ্গে তাঁর মা, বোন ও দুই ভাই থাকেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড পেয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার আকায়েদ উল্লাহর এক আত্মীয়কে শনাক্ত করে রয়টার্স। আহমেদ উল্লাহ নামের ওই ব্যক্তি জানান, আকায়েদ উল্লাহর বাবা পাঁচ বছর আগে মারা যান। যুক্তরাষ্ট্রে আসার আগে আকায়েদ উল্লাহ সাধারণ সরকারি স্কুলে লেখাপড়া করতেন।
নিউইয়র্কের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, কর্মস্থলে বিস্ফোরকটি তৈরি করেছিলেন আকায়েদ উল্লাহ। প্রাথমিক তদন্তে এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। আকায়েদ এটি স্বীকার করেছেন। তবে কারিগরি ত্রুটির কারণে বিস্ফোরণ হয়নি। আকায়েদ ইচ্ছে করেই নির্দিষ্ট স্থানে বিস্ফোরণটি ঘটিয়েছেন।
তদন্তের সঙ্গে জড়িত এক কর্মকর্তা বলেন, আকায়েদ উল্লাহ আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক এস্টেটের প্রোপাগান্ডা দেখতেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
গতকাল সোমবার ম্যানহাটনে টাইম স্কয়ার সাবওয়ে স্টেশন থেকে বাস স্টেশনে যাতায়াতের ভূগর্ভস্থ পথে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজন আহত হন। প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে আহত অবস্থায় বাংলাদেশি নাগরিক আকায়েদ উল্লাহকে আটক করে পুলিশ।