উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ড্রোন বাহিনী বানাচ্ছে সিউল

Slider সারাবিশ্ব

100605A-Nur

 

 

 

 

উত্তর কোরিয়াকে সামরিক দিক থেকে মোকাবেলার লক্ষ্যে নতুন এক বাহিনী গড়ে তুলেছে দক্ষিণ কোরিয়া। সেটি হলো ড্রোন বাহিনী।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইওনহ্যাপ একজন সামরিক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে খবর দিয়েছে, আগামী বছর এই ড্রোন কমব্যাট ইউনিট চালু হবে এবং এর কারণে যুদ্ধের রীতিনীতি সম্পূর্ণ বদলে যাবে।

কেমন হবে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সামরিক কর্মকর্তা বলছেন, এই সেনা ইউনিট গঠন করা হবে ‘ড্রোনবট’ দিয়ে। অর্থাৎ এতে ড্রোন থাকবে, সেইসঙ্গে থাকবে রোবট।

উত্তর কোরিয়ার ক্রমাগত পরমাণু বোমা এবং আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মুখে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে দক্ষিণ কোরিয়া তার গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করতে চায় এবং জোরদার করতে চায় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

গত ২৯ নভেম্বর কিম জং উনের নেতৃত্বাধীন পিয়ংইয়াং সরকার সর্বশেষ যে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় তার পাল্লা যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ড পর্যন্ত বিস্তৃত বলে দাবি করা হচ্ছে।

নজরদারি এবং হামলা
ব্রিটেনের ফিন্যানশিয়াল টাইমস সংবাদপত্র সূত্রের বরাত দিয়ে খবর দিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার ড্রোন বাহিনীর মূল কাজ হবে দুটি।

প্রথমত, ড্রোনগুলো দিয়ে শত্রুপক্ষের ওপর নজরদারি চালানো  হবে। বিশেষভাবে উত্তরে কোরিয়া যেসব জায়গায় অস্ত্র ও বোমার  পরীক্ষা চালায় সেগুলোর দিকে নজর রাখা হবে।

দ্বিতীয়ত, এই ড্রোন ঝাঁক বেঁধে শক্রর ওপর হামলা চালাতে পারবে।

ড্রোনকে দূরনিয়ন্ত্রিতভাবে চালানো যায়। তবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তির সুবাদে আকাশে ওড়ার সময় ড্রোনগুলো একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারে।ফিন্যানশিয়াল টাইমস সংবাদপত্রের খবরে মন্তব্য করা হয়েছে, ‘এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির এমন উন্নতি হয়েছে যে ড্রোনগুলো একে অন্যের সঙ্গে আরো ভালভাবে যোগাযোগ রাখতে পারে এবং ঝাঁক বেঁধে আক্রমণ চালাতে পারে। ‘

গত বুধবার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাজেটে ৭% বরাদ্দ বৃদ্ধির ঘোষণা করেন। ২০০৯ সালের পর থেকে সামরিক বাজেট এতটা বাড়ানো হয়নি।

দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষাবিষয়ক মন্ত্রী সং ইয়ং মু-এর মতে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ‘রূঢ় বাস্তবতার’ মুখেই বাজেটে চার হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। নতুন প্রযুক্তি গড়ে তুলতে এবং সৈন্য সংখ্যা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে এই অর্থ ব্যয় করা হবে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *