আগামী বছর থেকে খাতওয়ারি বড় বড় দুর্নীতিবাজদের তালিকা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কমিশন নিজস্ব গবেষণা ও গোয়েন্দা তথ্য সর্বাধিক গুরুত্ব দেবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দুর্নীতিবিরোধী মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের নেতৃত্বে দুদকের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, গার্ল গাইডস, বয়েজ স্কাউট, আনসার ও বিএনসিসির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জনগণের অর্থ লোপাটের দিন শেষ। ব্যাংকের অবশ্যই আইন-বিধি অনুযায়ী ঋণ দিতে হবে। জনগণের অর্থ নিয়ে ছিনিমিনি করতে দেওয়া হবে না। দুর্নীতিবাজদের স্ত্রীর নামে সম্পদ রাখা একটা সামাজিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এ জন্য অনেক সময়ই দুর্নীতিবাজদের স্ত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হয়। তিনি বলেন, মনে হয় অধিকাংশ সরকারি কর্মকর্তাদের শ্বশুরবাড়ির লোকজন ধনী, তারা স্ত্রীদের নামে সম্পদ থাকার কথা বলে। এর বড় কারণ আমাদের দেশের মা-বোনরা সচেতন নয়।
এ জন্য মা-বোনদের সচেতন করার চেষ্টা করছি। এ বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে দুদক চেয়ারম্যান বলেন,এ বছর সরকারিভাবে ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস হিসেবে উদ্যাপিত হচ্ছে। আমরা মনে করি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপ বর্তমান প্রজন্ম ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে দুর্নীতির রাহুগ্রাস থেকে রক্ষা করতে হবে। ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমাদের সকল স্তরের নাগরিক ছাত্র, শিক্ষক, রাজনীতি, সুশীল সমাজসহ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হতে হবে। তা না হলে দুর্নীতি নির্মূল করা যাবে না। শুধু দুদক, মিডিয়া কিংবা সরকার দুর্নীতি দূর করতে পারবে না।