প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক হুইপ অ্যাডভোকেট জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, নির্বাচন অবশ্যই আপনাকে দিতে হবে। সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে।
সেই নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হবে। দেশের প্রতিটি মানুষ ভোট দিতে পারবে।
আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা।
তিনি আরো বলেন, ২০১৪ এর ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি নির্বাচন করা আর সম্ভব না। জনগণ বিএনপির জনসমর্থন দেখেছে। আমরা মনে করি দেশে যদি সত্যিকার অর্থে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় বেগম খালেদা জিয়া আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। তখন অক্ষরে অক্ষরে ক্ষমতাসীন দলের লুটপাটের বিচার করা হবে।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী কম্বোডিয়া সফর শেষে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।
সেখানে তিনি একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন বাংলাদেশের দুর্নীতি কোথায় গিয়েছে? সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাকি পাঁচ শত কোটি টাকার অধিক সৌদি আরবে রয়েছেন। তিনি আরো একটি প্রশ্নের জবাবে বলেছেন দেশে এমন কোনো সঙ্কট নেই যে কারণে দেশে আগাম নির্বাচন দিতে হবে। তবে এটুকু বলেছেন সংসদীয় রাজনীতিতে আগাম নির্বাচনের ব্যবস্থা করা যায়। কিন্তু বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকাকালীন কোনো আগাম নির্বাচন দেওয়া হবে না, দেওয়া যাবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে একটা কথা জিজ্ঞাস করতে চাই গত সাড়ে আট বছর আপনি ক্ষমতায় বাংলাদেশে কোটি কোটি টাকা লুটপাট হয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হচ্ছে। দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান গুলো ধ্বংস করে দিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন ধ্বংস করে দিয়েছেন, দুদকের মত প্রতিষ্ঠানকে নিজের পক্ষে আনার জন্য ধ্বংস করে দিচ্ছেন, শেয়ার বাজারের হাজার কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে এসব ঘটনা কি বিএনপি সরকারের আমলে হলো?
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. রাসেলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তৃতা করেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া এবং সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রকিবুল ইসলাম প্রমুখ।