সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক জরিপে দেখা গেছে, চাইল্ড পর্নোগ্রাফি বা শিশুদের দিয়ে যৌনতার যে ভিডিও তৈরি হয় তাতে ভারত বিশ্বের প্রথম তিনটি দেশের মধ্যে রয়েছে। এমনকি এই সব ভিডিও দেখার ক্ষেত্রেও ভারতের স্থান প্রথম তিন জনের মধ্যে।
এহেন পরিস্থিতিতে শিশুদের যৌন নিপীড়ন নিয়ে সামনে এল আরও এক ভয়ঙ্কর তথ্য। যা গা হিম করে দিতে পারে।
শিশুদের এই যৌন লাঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হওয়া এক নারী সমাজকর্মী ইন্টারনেটে change.org নামের একটি আন্তর্জাতিক সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এই তথ্যকে সামনে এনেছেন। তাঁর দাবি, মাত্র ১০০ টাকা দিলেই ভারতের নিষিদ্ধ পল্লিতে মিলছে শিশু যৌনকর্মী। ১০ বছর থেকে ১৪-১৫ বছরের ছেলে-মেয়েদের লালসার শিকার বানানো হচ্ছে।
এমনকি, এই শিশুদেরকে বয়সে বড় দেখাতে মোটা-তাজা করনের জন্য দেওয়া হচ্ছে হরমোন ইনজেকশন। আর এইভাবে যে সব মানুষজন শিশুদের লালসার শিকার বানাচ্ছে তাদের দলে কে নেই- রিক্সা চালক থেকে শুরু করে রোজ জন খাটা শ্রমিক বা সমাজের বাবুরা, উচ্চ পদে কর্মরত পুরুষরা।
শাইনা এনসি
শাইনা এনসি নামে এই নারী সমাজকর্মী এ প্রসঙ্গে সকলের সামনে এনেছেন সম্প্রতি দেশটির মহারাষ্ট্র প্রদেশে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনাকেও। মহারাষ্ট্র পুলিশ সম্প্রতি একটি নিষিদ্ধ পল্লিতে তল্লাশি চালিয়ে বেশকিছু যৌন কর্মীকে গ্রেপ্তার করে।
এই দলে রতি (নাম পরিবর্তিত) নামে চৌদ্দ বছরের একটি মেয়েও ছিল।
রতি তার দেওয়া বিবরণে পুলিশকে জানায় নিষিদ্ধ পল্লির প্রধান মাত্র ১০০ টাকার জন্য তাকে শরীর বেচতে বাধ্য করত। দিনে অন্তত ৩০ জন গ্রাহকের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে হত রতিকে। এমনকি, চৌদ্দ বছরের রতি জানায় তাকে যাতে বড়দের মতো দেখতে লাগে তার জন্য হরমোন ইনজেকশনও দেওয়া হত।