এই পর্নোগ্রাফি কনটেন্ট আবার যে সে নয়, একেবারে’চাইল্ড পর্নোগ্রাফি’। সম্প্রতি জিডি বিড়লা কাণ্ডের পর সরব হয়েছেন বিভিন্ন মহলের মানুষ।
সকলেই স্কুলের শিক্ষকের ঘৃণ্য মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, এই মুহূর্তে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি -র সবচেয়ে বড় যোগানদাতা ভারত, শুধু সেটুকুই নয় সবচেয়ে বড় উপভোক্তাও ভারত।
ভারতে সবচেয়ে বেশি পর্নোগ্রাফি কনটেন্ট আপলোড হয় কেরল থেকে। আর সবচেয়ে বেশি সেই কনটেন্ট দেখা হয় হরিয়ানাতে। এই ধরণের জিনিস এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দেখা হয় মোবাইল ফোনে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের হিসাব অনুযায়ী ভারতে সারাদিন যা ডাউনলোড হয় তারমধ্যে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট।
চাইল্ড পর্নোগ্রাফির জন্য সবচেয়ে সহজলভ্য টার্গেট গ্রাম ও ছোট শহরের শিশুরা। তবে ভাববেন না শহরের শিশুরা নিরাপদ। শহরের স্কুলে যাওয়া শিশুরাও এই তালিকার যথেষ্ট ওপরের দিকে রয়েছে। প্রতি সেকেন্ডে ৪০০ জন এই ধরণের কনটেন্টের জন্য পরিচিত সার্চ ইঞ্জিনগুলিতে খোঁজ করে।
ভারতীয় সাইবার আর্মি-র পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এই ধরণের কনটেন্ট ব্যবহারকারীর তালিকায় পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গও। হরিয়ানা, পাঞ্জাবের পরই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, দিল্লি, আসামও। সংস্থার পক্ষ থেকে মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘এখনকার দিনে শহরের ছোটরা রীতিমতো টেকি। সেখান থেকেই বিভিন্ন ভাবে লিক হয়ে যাচ্ছে ছবি। তাই দিয়ে কাজ সেরে নিচেছ এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকার মানুষরা। ‘ শিশুকাম মানসিকতাকে চরিতার্থ করার জন্যই এই সব ভিডিও।
আরও একটি সমীক্ষা জানিয়েছে ভারতীয়রা যে তিন ধরনের পর্ন দেখার জন্য সার্চ করেছিলেন, তার শীর্ষে রয়েছে চাইল্ড পর্ন এবং দু’নম্বরে রয়েছে নারী সমকামীদের পর্ন। ভারতীয় গৃহবধূদের নিয়ে বানানো পর্ন এবং কলেজপড়ুয়াদের নিয়ে বানানো পর্নও যথেষ্ট জনপ্রিয়। তারকা পর্নস্টার সানি লিওনি, মিয়া খলিফাদের ছেড়ে এখন শিশু-দের শৈশবেও হাত দিয়েছে পর্ন সাইটগুলো।