এবার সবার ধরা-ছোঁয়ার বাইরে ফেসবুক!

Slider সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

153717Facebook-zucker

 

 

 

 

কর্মক্ষেত্র নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান গ্লাসডোরের ২০১৮ সালে তালিকায় সেরা কর্মক্ষেত্রে হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে ফেসবুক। কর্মীদের পর্যালোচনার ভিত্তিতেই মূলত এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়।

প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং অন্যান্য বিষয়ে কর্মীদের তুষ্টি, সুযোগ-সুবিধা, নেতৃত্ব, সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ ইত্যাদির ভিত্তিতে সবার আগে বিশ্বের সর্ববৃহৎ সোশাল মিডিয়া।

গ্লাসডোরের এমপ্লইস চয়েজ অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে ফেসবুক যাদের সদরদপ্ত ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কে। কর্মীদের সুখকর কর্মক্ষেত্রে ও ক্যারিয়ার দেওয়ার জন্যে ফেসবুক সবার সেরা। র‍্যাংকিংয়ে শীর্ষে যেতে ৫ পয়েন্টের স্কেলে ফেসবুক ৪.৬ স্কোর করেছে। বিগত ৮ বছর ধরে গ্লাসডোর বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানগুলোর গুণগত মান যাচাই করে। তারা এবার মনে করছে, ফেসবুককে এবার আর কোনো কম্পানি ছুঁতে পারবে না। এর আগে গুগল সেরা কর্মক্ষেত্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল।

প্রতিষ্ঠান নিয়ে তুষ্ট ফেসবুকের কর্মীরা। এটা জানতে গ্লাসডোর অতীত ও বর্তমানের কর্মীদের বিপুল পরিমাণ তথ্য সংগ্রহ করে।

ফেসবুকের হয়ে কাজ করার পেছনে কর্মীদের সেরা কারণগুলো তুলে ধরতে বলা হয়। সেই সঙ্গে ব্যবস্থাপনা বিভাগের জন্যে পরামর্শ চাওয়া হয়। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের সিইও, কর্মক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক, ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ, কর্মীদের ক্ষতিপূরণ বা প্রণোদনা দেওয়ার পদ্ধতি, সংস্কৃতি আর মূল্যবোধের বিচারও করেছেন কর্মীরা।

কর্মীদের কাছ থেকে বেশি কিছু মন্তব্য মিলেছে যা ফেসবুককে সেরা কম্পানিতে পরিণত করেছে। যেমন-

১. এখানকার কর্মীরা মনে করেন যে ফেসবুক তাদের যথেষ্ট মূল্যায়ন করে। তাই এ প্রতিষ্ঠানের জন্যে কাজ করতে তাদের ভালো লাগে। যার যার কাজে যথেষ্ট উৎসাহ-উদ্দীপনা দেওয়া হয়। অফিস সংস্কৃতিকে আরো গঠনমূলক করতে শক্ত ভিত্তিমূল গড়ে তুলতে সচেষ্ট কর্তৃপক্ষ।

২. ফেসসুকের মিশন হলো মানুষকে সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলে বিশ্বকে আরো কাছে আনার শক্তি সরবরাহ করা। আর এ মিশন ধরেই কাজ করে তারা। এই মিশন খুবই অর্থবহুল এবং চ্যালেঞ্জিং। এই মিশনের কারণেই কোটি কোটি মানুষ ফেসবুকের প্রেমে পড়েছে।

৩. সিনিয়র পর্যায়ের নেতৃত্বে স্বচ্ছতা বিরাজ করে। নেতৃত্ব পর্যায়ের ব্যক্তিরা সব কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বজায় রাখেন। প্রতি সপ্তাহেই সিইও মার্ক জাকারবার্গ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে কর্মীদের সঙ্গে তো বটেই, ফেসবুকারদের সঙ্গেও প্রশ্নোত্তর পর্ব পরিচালনা করেন। এই সভায় জাকারবার্গ প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পর্যায়ের সব সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা সম্পর্কে জানান দেন কর্মীদের কাছে। ফলে তাদের কোনো কিছুই অস্বচ্ছ থাকে না।

৪. আসলে ফেসবুকের প্রত্যেক কর্মীর চারদিকটা ঘিরে রয়েছেন আরো স্মার্ট সব সহকর্মীরা। ফলে যেকোনো কর্মী খুব দ্রুত কাজের ক্ষেত্রে মানসম্পন্ন হয়ে যান। গ্লাসডোরের কাছে প্রায় সব কর্মীই বলেছেন, তারা যাদের সঙ্গে কাজ করেন তারা সবাই সৃষ্টিশীল এবং স্মার্ট।

৫. কর্মীর কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ ও সুবিধা রয়েছে। মেধা-মননের বিকাশে কর্মীরা অনেক সহযোগিতা পান এবং সবাই সহায়তার এগিয়ে আসেন। নিজেকে আরো দক্ষ করে তুলতে থাকে বিস্তার সুযোগ ও সময়।

৬. বলা হয়, চাকরি নিয়ে তুষ্টির বিষয়টি আসলে সেখানে অর্থই সবকিছু নয়। উচ্চ বেতন কর্মীকে সত্যিকার অর্থে সুখী করে তুলতে পারে না। কিন্তু ফেসবুকের কর্মীরা তাদের কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারেন। আবার যোগ্যতার বিচারে প্রতিদান দিয়ে চলে প্রতিষ্ঠান। তাই কর্মীরা নিজের প্রাপ্যটুকু সুষ্ঠুভাবে পেয়ে যান। কাজেই তারা এখানেই সুখী।

৭. বাড়তি অনেক সুযোগ-সুবিধা যে রয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখানে পয়সা ছাড়া মেলে দারুণ খাবার, অফিসের চমৎকার পরিবেশ, অফিসে আসা-যাওয়ার সুযোগ আর লন্ড্রি সেবা। এমন অনেক সুবিধা দেয় ফেসবুক যা কর্মীদের জীবনটাকে অনেক সহজ করে দেয়।
সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *