জেরুজালেম ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বীকৃতি দেয়ার পর বিশ্বব্যাপী তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।
এমনটি ব্রিটেন, ফ্রান্স, সৌদি আরবের মতো যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ দেশগুলোও এই স্বীকৃতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
এই সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’ আর ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে বর্ণনা করেছে সৌদি আরব।
ফ্রান্স, জার্মানি আর যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, তারা ওই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে না।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুটেরেস বলেছেন, এটা খুবই গভীর উদ্বেগের সময়। কারণ দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান ছাড়া এর আর কোন বিকল্প নেই।
যদিও ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একে স্বাগত জানিয়ে বলছেন, এটা একটি ঐতিহাসিক দিন।
ফিলিস্তিনে ধর্মঘট আর বিক্ষোভ ডাকা হয়েছে। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস একে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, এর ফলে শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতাকারী হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের আসন হারিয়েছে।
গাজা ভূখণ্ড পরিচালনাকারী ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস বলছে, মি. ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ওই অঞ্চলে মার্কিন স্বার্থের ক্ষেত্রে ‘জাহান্নামের দরজা খুলে দেবে’।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোগান বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত পুরো অঞ্চলকেই, তার ভাষায় ‘আগুনের বৃত্তে’ ছুড়ে ফেলবে। ইস্তানবুলে মার্কিন কনস্যুলেটের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে।
শুক্রবার এ নিয়ে আলোচনায় বসবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। পরিষদের ১৫টি সদস্য দেশের আটটি দেশ জরুরি অধিবেশন ডেকেছে, যেসব দেশের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্য আর ফ্রান্সের মতো যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশও।
শনিবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছে আরব লীগ।
এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াও।
জেরুজালেম শহরটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরৈই ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। শুধু এই শহরটি নিয়ে দশকের পর দশক ধরে থেকে থেকেই সহিংসতা হয়েছে, প্রচুর রক্তপাত হয়েছে।
ফলে কোন পক্ষকেই স্বীকৃতি না দেয়ার মার্কিন নীতি চলে আসছে বহুদিন ধরে।
কিন্তু বুধবার হোয়াইট হাউসে এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিতর্কিত জেরুজালেম শহরকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত কয়েক দশকের আমেরিকান নীতিকে বদলে দিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট আরও ঘোষণা করেছেন যে আমেরিকান দূতাবাস তেল আভিভ থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
– বিবিসি বাংলা