গত একদশকে কলকাতার বাংলা সিনেমা জগতে জোয়ার এসেছে। সেকেলে ভাবনা থেকে বেরিয়ে বিশ্বায়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গল্প, চিত্রনাট্য তৈরি হচ্ছে।
যার সঙ্গে ভালো গীতিরচনা, সুর ও অভিনয় সিনেমার মানকে অনেকটা বাড়িয়ে তুলেছে।
দক্ষিণী সিনেমার রিমেক অনেকই হয়, পাশাপাশি মৌলিক গল্প দিয়েও অনেক সিনেমা আজকাল তৈরি হচ্ছে। আজ আর শুধু প্রসেনজিৎ নির্ভরতা নেই কলকাতার বাংলা সিনেমা জগতে। দেব, জিৎ থেকে শুরু করে আবীর, যিশু অনেকেই বাংলা সিনেমার মানকে ওপরে তুলে ধরেছেন। তবে এইসব তারকাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কতদূর তা জানেন কি?
আবীর চট্টোপাধ্যায়
ইকফাই বিজনেস স্কুল থেকে কমার্স অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে পড়াশোনা করেন আবীর। তারপর আচমকাই একদিন সিনেমা অফার এসে যায়। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি।
মিঠুন চক্রবর্তী
কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে রয়াসনে স্নাতক করেছেন মিঠুন। তবে তখন তাঁর নাম ছিল গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী।
পরে পুনে এফটিআইআই থেকে অভিনয় নিয়ে পাশ করেন মিঠুন চক্রবর্তী।
প্রসেনজিৎ
বাবা খ্যাতনামা অভিনেতা হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই বৈভবের মধ্যে দিন কেটেছে প্রসেনজিতের। ক্যালকাটা এয়ারপোর্ট ইংলিশ হাইস্কুল থেকে পাশ করার পরে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুল ও পরে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়াশোনা করেন সকলের প্রিয় বুম্বাদা।
অঙ্কুশ হাজরা’
বর্ধমানের ছেলে অঙ্কুশের অনেকটা সময়ই সেখানে কেটেছে। প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করে কলকাতায় আসা। হেরিটেজ অ্যাকাডেমি থেকে বিবিএ পাশ করেছেন তিনি।
যিশু সেনগুপ্ত
অভিনয়ে আসার আগে খেলাধূলার প্রতি দারুণ নেশা ছিল যিশুর। চুটিয়ে ক্রিকেট খেলতেন। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেছেন। খেলা না ছাড়লে বাংলা দলের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ ছিল যিশুর সামনে। তিনি জুলিয়ান ডে স্কুলে পড়াশোনা করেন। পরে অর্থনীতিতে স্নাতক পাশ করেন।
দেব
মেদিনীপুরের ছেলে দেবের বাবা কর্মসূত্রে মুম্বাইয়ে থাকতেন। যার ফলে ছোটবেলা মুম্বাইতেই কেটেছে দেবের। সেখানে বান্দ্রার স্কুলে পড়াশোনা। তারপরে পুনে থেকে কম্পিউটার নিয়ে ডিপ্লোমা পাশ করেন দেব। অভিনয় জগতে পা রাখতে মু্ম্বাই থেকে কলকাতা আসেন। তার হাত ধরেই বর্তমান সময়ে বদল হয়েছে বাংলার সিনেমার।
জিৎ
সিন্ধ সমাজ থেকে উঠে আসা জিৎ কোনও বাঙালির চেয়ে কম যান না। ছোট থেকেই কলকাতাতেই কেটেছে। সেন্ট জোসেফ স্কুল হয়ে পরে ন্যাশনাল হাইস্কুল। শেষে ভবানীপুর সোসাইটি কলেজ থেকে স্নাতক স্তরে পাশ করেন। তারপরে বেশ কিছু বিজ্ঞাপনে কাজ করার পরে সিনেমায় ব্রেক পান।