নীরবতা ভেঙেই টাইমের পারসন অব দ্য ইয়ার

Slider সারাবিশ্ব

63f28ef2dd01a2356bdc8ba4e03ef4e0-5a282104bbfa4

 

 

 

 

 

 

 

যৌন নির্যাতন ও হয়রানির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হওয়া আন্দোলন হ্যাশট্যাগ মি টু (#MeToo) এবার টাইম ম্যাগাজিনের ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ (বর্ষসেরা ব্যক্তি) হয়েছে। মার্কিন এই প্রভাবশালী সাময়িকীটির পক্ষ থেকে বুধবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এএফপি ও বিবিসির খবরে বলা হয়, হলিউডের মুভি মুঘল হার্ভে উইনস্টেইনের যৌন কেলেঙ্কারির খবর ফাঁসের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন অভিনেত্রী অ্যালিসা মিলানো যৌন নিপীড়ন ও হয়রানির ঘটনা প্রকাশ করতে নারীদের উৎসাহিত করতে শুরু করেন #মিটু মুভমেন্ট। এ আন্দোলন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অ্যালিসা মিলানো যৌন নিপীড়ন ও হয়রানির ঘটনা প্রকাশের পর নারীদের এগিয়ে আসতে কয়েক মাস ধরে ‘হ্যাশট্যাগ মি টু’ আন্দোলন শুরু করেন। পরে এটি জনপ্রিয় হয়ে যায়। একে একে মুখ খোলেন অনেকেই। নারীদের পাশাপাশি পুরুষেরাও এতে অংশ নেন। সবাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হ্যাশট্যাগ মি টু লিখে অংশ নিতে থাকেন এ আন্দোলনে। যৌন নিপীড়ন ও হয়রানির প্রতিবাদে বিশ্বের অনেক নারী ঘোষণা দিয়ে এক দিনের জন্য টুইটার বর্জনও করেছিলেন।
টাইম ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক এডওয়ার্ড ফেলসেনথাল এই আন্দোলনে যোগ দেওয়া নারীদের ‘নীরবতা ভেঙে বেরিয়ে আসা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, এটি বহু দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেগবান সামাজিক পরিবর্তন, যা শুরু হয়েছে শত শত নারীর ব্যক্তিগত সাহসী পদক্ষেপ এবং কিছু পুরুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে। তাঁরা নিজের অভিজ্ঞতাগুলো নিয়ে হাজির হয়েছেন।
তারানা বুর্কে নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ নারী ২০০৭ সালে যৌন নির্যাতনবিরোধী ‘মি টু’ আন্দোলন শুরু করেছিলেন। এ বছরের অক্টোবরে নিউইয়র্ক টাইমস এবং দ্য নিউইয়র্কার যৌন নির্যাতন ও হয়রানি নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন করে, যাতে দেখা যায় বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী হলিউডের প্রযোজক হার্ভে উইনস্টেইনের যৌন হয়রানির শিকার হয়েও চুপ থাকতে বাধ্য হয়েছেন। আর তখনই অ্যালিসা মিলানো সেই পুরোনো মি টু আন্দোলনকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হ্যাশট্যাগ মি টু নামে আবার জনপ্রিয় করে তুলেছেন।
মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের তদন্তের দায়িত্বে থাকা বিশেষ কৌঁসুলি এফবিআইয়ের পরিচালক রবার্ট মুলার, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, আমাজনের কর্ণধার জেফ বেজোসসহ অনেকেরই নাম এবারের সম্ভাব্য বর্ষসেরার তালিকায়।

গত বছর এই খেতাব পেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

টাইম ম্যাগাজিন ১৯২৭ সাল থেকেই ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা দিয়ে আসছে। এর মধ্য দিয়ে বছরজুড়ে সংবাদমাধ্যমে সবচেয়ে প্রভাবশালী, ভালো বা খারাপ ব্যক্তি নির্বাচন করে সংবাদমাধ্যমটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *