২০১২ সালে রিচার্ড পাইবাসের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ‘সম্পর্ক’ পাঁচ মাসও টেকেনি। শুধু বাংলাদেশ-অধ্যায় শেষ করে থামেননি তিনি, বিসিবির বিপক্ষে তাঁর অভিযোগের শেষ ছিল না। তবে এবার পরিপ্রেক্ষিত অন্য রকম বলে মনে করছেন পাইবাস নিজে। পাঁচ বছরের ব্যবধানে পাইবাসকেই বেশি আগ্রহী মনে হচ্ছে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব পাওয়ার ব্যাপারে।
কাল সন্ধ্যায় ঢাকায় পা রাখা পাইবাস আজ বেলা ১১টায় বিসিবির সাক্ষাৎকারে হাজির হয়েছিলেন। বিসিবির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সামনে তুলে ধরেছেন নিজের কর্ম-পরিকল্পনা। পাইবাসের উপস্থাপনায় (প্রেজেন্টেশন) মুগ্ধ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান, ‘নিঃসন্দেহে তার উপস্থাপনা ভালো ছিল। শুধু বর্তমান নয়, সে ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা বলেছে। ১০ বছরের একটা পরিকল্পনা নিয়ে এসেছে। সংক্ষিপ্ত এবং দীর্ঘমেয়াদ—দুটিই দেখতে হবে। সামনে বিশ্বকাপ আছে। সেটাও আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ও যা চায়, যে রকম বলছে, এখনই হয়তো পারব না। তবে ধাপে ধাপে পরিকল্পনাগুলো কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশের জন্য ভালোই হবে।’
পাইবাসের সঙ্গে বিসিবির আগের অধ্যায় কতটা তিক্ততায় ভরা ছিল, সেটি অজানা নয় নাজমুলের। ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া এই দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ কেন তখন বিসিবির বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছিলেন, সেটিও তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে আজ। উত্তরে পাইবাস কী বলেছেন, সেটি অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে বলতে চাইলেন না নাজমুল। বরং এড়িয়ে গেলেন ‘আগের বোর্ডের বিষয়’ বলে।
এবার পাইবাস নিজ থেকেই কেন বাংলাদেশ দলের কোচ হতে আগ্রহী, সেটির ব্যাখ্যা অবশ্য দিয়েছেন নাজমুল, ‘সে শতভাগ নিজ থেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তার কাছে মনে হয়েছে বাংলাদেশ দল এখন ভালো করছে। দলটা একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে। এখন যেভাবে বাংলাদেশের ক্রিকেট চলছে, শুধু সে নয়, অন্যান্য পেশাদার কোচও বিসিবির সঙ্গে কাজ করতে চায়।’
দৌড়ে এগিয়ে থাকলেও পাইবাসই যে বাংলাদেশ দলের কোচ হচ্ছেন, সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। ৯ ডিসেম্বর বিসিবিকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ডের সাবেক কোচ ফিল সিমন্সের। ‘১০ তারিখে আমাদের যে বোর্ড মিটিং আছে, ওখানে মোটামুটি একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে চাচ্ছি’—বিসিবি যে জানুয়ারিতে দেশের মাঠে শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে মাশরাফি-সাকিব-মুশফিকদের কোচ নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে, নাজমুলের কথায় পরিষ্কার।