গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :
পিটিসি খুলনার আমর্ড এ এস আই (এবি) ৩০৫ মোহাম্মাদ আলীর বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জের এক মুক্তিযোদ্ধার ছেলেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
মঙ্গলবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলা রির্পোর্টাস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্থের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো:আজগর আলী লিখিত বক্ত্যবে এ অভিযোগ করেন ।
তিনি জানান,তার ছেলে ইব্রাহিম শেখ(২১) কে ঢাকা এয়ারপোর্টে নব এয়ারে টলিম্যানে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমার কাছে ওই এ এস আই (এবি ৩০৫) মোহাম্মাদ আলী ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে । আমি তাকে অগ্রিম ২ লক্ষ টাকা প্রদান করি।পরে আমাকে সে বলে যে,আপনার ছেলের চাকরির জন্য অভিভাবকের প্রত্যয়নপত্র এবং স্টাম্পে একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর প্রয়োজন । আপনি সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর করে দেন আমি বিস্তারিত লিখে নিবো । আমি তাকে বিশ্বাস ও সরলতার সাথে সাদা প্রত্যয়নপত্র এবং স্টাম্পে স্বাক্ষর করে দেই। যখন দেখছি এ এস আই মোহাম্মাদ আলী আমার ছেলের চাকুরির কোন ব্যাবস্থা করতে পারছে না তখন আমি টাকা এবং আমার স্টাম্প ফেরত চাই ।প্রথমে সে দিবো দিচ্ছি বলে ঘুরাতে থাকে, পরবর্তিতে এক সময় সে পুড়া ঘটনাটা অস্বিকার করে বলে আমার কাছে তোর কোন টাকা বা স্টাম্প নাই । আমি যে এগুলো নিছি তার কোন প্রমান আছে তোর কাছে? তিনি হুমকি দিয়ে আরো বলেন, যা তুই পারলে আমার কিছু করিস,তার আগে আমার ক্ষমতা সম্পর্কে যেনে নিস । বাগেরহাটে অনেক বড় বড় আওয়ামীলিগ নেতাদের সাথে আমারা সম্পর্ক । তুই তো সামান্য মুক্তিযোদ্ধা তোকে রাজাকার বানাতে আমার কোন সময় লাগে না । তোর মত মুক্তিযোদ্ধাকে আমি দেখে নিবো বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমাকে প্রাঁনে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। এ অবস্থায় আমি এখন চরম নিরাপত্বাহীনতায় ভুগছি। এ ব্যাপারে গত ৭ অক্টোবর প্রত্রিকার ও প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি আবেদন করি, যার অনুলিপি স্বরাষ্ট মন্ত্রানালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রানালয় সহ বিভিন্ন স্থানে পেশ করি । এক পর্যায়ে বাংলাদেশ পুলিশ হেড কোয়াটার সিটিউটিরি সেল তদন্ত দেন পিটিসি খুলনাকে । সেখানে তদন্ত,স্বাক্ষি পর্ব শেষ হলেও আমি কোন প্রতিকার পাইনি । এ অবস্থায় আমি নিরুপায় হইয়া সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হয়েছি । আমি যাতে আমার টাকা ও সাদা স্টাম্প ফেরত পেতে পারি তার জোর দাবি জানচ্ছি । এবং প্রতারক মো: আলির সাজা কামনা করছি ।