ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করে স্বাধীনতার চেতনা বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজম্ম লীগের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় র্যালি-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। মহান বিজয় দিবসের আগে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় কার্যকর এবং জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবীতে এই কর্মসূচি নেয়া হয়।
সংগঠনের সভাপতি ফাতেমা জলিল সাথীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সদস্য হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজম্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আমিনুল ইসলাম চৌধুরী স্বপন প্রমুখ।
মায়া বলেন, জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করে স্বাধীনতার চেতনা বাস্তবায়ন করতে হবে।
দেশকে রাজাকার মুক্ত করতে হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার আগ পর্যন্ত লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। আর যারা রাজাকারদের লালন-পালন করে তাদের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে মুক্তিযুদ্ধের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে অক্ষুন্ন রাখার জন্য উদ্যান সংলগ্ন শিশু পার্কটিকে সরিয়ে নেয়া হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র হিসেবে এ শিশু পার্কটিকে স্থাপন করা হয়েছিল।
মোজাম্মেল বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা করার অধিকার বিএনপির নেই। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে দেশের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম জিয়া মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আতিথেয়তায় ছিলেন। সুযোগ থাকার পরও তিনি সে আতিথেয়তা ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন নি।
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, সেজন্য স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির পৃষ্ঠপোষকতা দানকারী সংগঠন বিএনপি নেতাদের দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে কথা বলার কোন নৈতিক অধিকার নেই।
মোজাম্মেল বলেন, মুক্তিযুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। তাই স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত, রাজাকার ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে হবে।
সমাবেশ শেষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবী সম্বলিত বিভিন্ন ফেস্টুন বহন করা হয়। দেশাত্মবোধক গান আর বাদ্যযন্ত্রের শব্দে শোভাযাত্রায় বিজয়ের মাসের আমেজ ফুটে উঠে।
শোভাযাত্রা বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয় এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৌঁছার পর শেষ হয়।