স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এইডসের ঝুঁকি বাংলাদেশে সবচেয়ে কম। ২০৩০ সালের মধ্যে রোগটি এ দেশ থেকে নির্মূল করা হবে।
বিশ্ব এইডস দিবস-২০১৭ উপলক্ষে আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, বিশেষ কারণে এবার ০১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস্ দিবস পালন করা যায়নি। আগামী বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) ঢাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে দিবসটি পালিত হবে। এবারের শ্লোগান- ‘স্বাস্থ্য আমার অধিকার’।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে এইডস সংক্রমণের হার ০.০১ শতাংশের নিচে। এ রোগে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ১ শতাংশের মতো। দেশে সম্ভাব্য এইডস আক্রান্ত ১১ হাজার ৭০০ জন। ১৯৮৯ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ৫ হাজার ৫৮৬ জন আক্রান্তকে শনাক্ত করা গেছে। ৬৩৯ জন পুরুষ, ২১৩ নারী, ১৩ জন হিজরা এবং ৬৩ জন রোহিঙ্গা নতুন করে এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এর সংক্রমণ ঢাকার কিছু অঞ্চলে বাড়লেও তা নিয়ন্ত্রণে আছে। এই রোগীরা শিরার মাধ্যমে মাদক নিয়ে একে অন্যের মধ্যে রোগটি ছড়াচ্ছেন’।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, কিছু রোহিঙ্গার শরীরে এইডস পাওয়া গেছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়ার মস্কোয় গত ১৬ থেকে ১৮ নভেম্বর ‘যক্ষ্মা নির্মূলে করণীয়’ বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নির্মূলে আন্তঃদেশীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। ’
তিনি আরো বলেন, ‘রাশিয়ায় মিয়ানমারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে। সেখানে তিনি রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন। এতেই প্রমাণ করে, তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে সম্মত আছে। ’
এ ছাড়াও রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ কূটনীতিতে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। অচিরেই তাদের ফেরত পাঠানো যাবে।