বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমৃদ্ধির পথে অংশীদার হতে কম্বোডিয়ার ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “দুই দেশের মানুষের সমৃদ্ধির পথে আসুন সহযোগী হই। এক সাথে মিলে আমরা আমাদের লাখ লাখ মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনতে পারি।
” আজ সোমবার দেশটির রাজধানী নমপেনের হোটেল সোফিটেলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা দুই চেম্বারের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, পারস্পরিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের আলোচনায় তা কার্যকর হয়ে উঠবে। ”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সঙ্গে কম্বোডিয়ার দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকলেও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ মাত্র ৬৭ লাখ ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৪০ কোটি টাকার মত পণ্য কম্বোডিয়ায় যায়। আর বাংলাদেশ কম্বোডিয়া থেকে আমদানি করে ১৩ কোটি টাকার মত পণ্য।
এ প্রসঙ্গে নিজের হতাশার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের সত্যিকারের সম্ভাবনার প্রতিফলন এখানে হয়নি। আসিয়ানভুক্ত অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য দ্রুত বাড়ছে; কম্বোডিয়ার সাথেও এমনটি হবে বলে আমি আশা করি। ”
বাংলাদেশে বাণিজ্যের সুযোগ নিতে দেশটির ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে বাংলাদেশের অবস্থান। বাংলাদেশ ক্রমাগতভাবে চীন, মিয়ানমার ও ভারতের অর্থনৈতিক করিডোরের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে চলেছে।
এ সুযোগটিও কম্বোডিয়ার ব্যবসায়ীরা কাজে লাগাতে পারেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরিতে উদ্যোগের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের চেয়ে উদার বিনিয়োগ নীতি প্রণয়নের কথাও বলেন শেখ হাসিনা। তিনি জানান, বিনিয়োগ নীতির আলোকে বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আইনি সুরক্ষা, বিশেষ কর অবকাশ সুবিধা এবং যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্কছাড় দিচ্ছে।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, কম্বোডিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী প্যান সোরাসাক, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম, থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিম এবং এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।