আজ সোমবার কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনের পিস প্যালেসে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে শেখ হাসিনা এ কথা জানান। খবর ইউএনবির।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে কথা বলেছি। এই সমস্যা আমাদের আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, এর মধ্য প্রায় সাত লাখই সম্প্রতি মিয়ানমারে সহিংসতায় পালিয়ে আসা।’
এ প্রসঙ্গে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন বলেন, বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য সত্যিকারের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘বাংলাদেশের নিজেদের ১৬ কোটি জনগণ থাকা সত্ত্বেও বাস্তুচ্যুত এসব রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় তাদের ভার বাংলাদেশ নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছে। এ জন্য আমরা বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করছি।’
বৈঠকের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই অঞ্চলে সাম্প্রতিক কিছু নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই পক্ষই সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন দিনের সরকারি সফরে গতকাল রোববার কম্বোডিয়া গেছেন। তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের আমন্ত্রণে এই সফরে গেছেন। এর আগে ২০০১ সালে তিনি কম্বোডিয়া গিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কম্বোডিয়া সফরে দুই দেশের মধ্যে ১১টি চুক্তি ও ৯টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা। এ সময় ঢাকা ও নমপেনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দুই দেশের জাতির পিতার নামে নামকরণ করার কথা ঘোষণা করা হবে।