পাকিস্তান যেভাবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে তাতে সন্তুষ্ট নয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের বক্তব্য, পাকিস্তানের মাটিতেই ফুলে ফেঁপে বেড়ে ওঠা তালেবান ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ বিশেষ কিছু করছে না।
হোয়াইট হাউসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা এভাবেই পাকিস্তান সরকারের সমালোচনা করেছেন।
বিশেষ করে ভারতের মুম্বাইয়ে ২৬/১১-র সন্ত্রাসী হামলার মুখ্য অপরাধী হাফিজ সাঈদের মুক্তি পাওয়াকে এক ধাপ পিছিয়ে যাওয়া হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে ওয়াশিংটন। ৫ বছর হাক্কানি নেটওয়ার্কের হাতে বন্দি থাকার পর মার্কিন কোলম্যান পরিবারের মুক্তি পাওয়াকেও ওয়াশিংটন খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না।
তারা বলছে, ওই ঘটনা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ইসলামাবাদের সহযোগিতার কোনও প্রমাণ নয়। বরং পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তের পার্বত্য এলাকা থেকে কোলম্যান পরিবারের মুক্তির মূল কারণ তাদের কূটনৈতিক চাপ ও গোয়েন্দা এজেন্সিদের কাজ বলে তাদের দাবি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিষ্কার জানিয়েছে, তালেবান ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের মূলোচ্ছেদ করার ব্যাপারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পাকিস্তান রাখছে না, এখনও এ ক্ষেত্রে তারা তেমন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। পাকিস্তানের মাটিতে গড়ে ওঠা জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্যগুলি ভেঙে দিতেও তারা উৎসাহী নয়।
তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তাদের এখনও আশা, পাকিস্তান সন্ত্রাসদমনে তাদের সহযোগিতা করবে। যদিও তা তাদের করতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।
তাদের ধৈর্য সীমাহীন নয় বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।