নাগপুরের মত দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলাতেও রান উৎসবে মেতেছিল ভারত। টানা দুই ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে উড়ছিলেন অধিনায়ক কোহলি।
কিন্তু এর মধ্যেই ছন্দপতন! দিল্লির ভয়াবহ বায়ু দুষণে অসুস্থ হয়ে পড়েন ফিল্ডিং করতে থাকা শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররা। ফিল্ড আম্পায়াররা বহু চেষ্টা করেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারেননি। ম্যাচ রেফারিও অসহায়। সেই মুহূর্তে মুশকিল আসান করলেন বিরাট কোহলি।
দিল্লির বায়ুদূষণে ম্যাচ খেলা নিয়ে সকাল থেকেই আপত্তি ছিল শ্রীলঙ্কার। প্রাথমিকভাবে মাঠে নামতে অস্বীকার না করলেও মাস্ক লাগিয়ে খেলা শুরু করেন চান্ডিমালরা। বিরাট কোহলি ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করে যখন ঝড়ের গতিতে ট্রিপল সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছেন, ঠিক তখনই অস্বাস্থ্যকর আবহাওয়ায় খেলা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে আম্পায়ারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক। লঙ্কান বোলাররা অসুস্থ বোধ করলে দফায় দফায় ডাক্তার ও ফিজিওরা মাঠে নামেন।
আম্পায়াররা ম্যাচ রেফারির মতামত জানতে চাওয়ায় মাঝে বেশ কিছুক্ষণের জন্য খেলা বন্ধ থাকে।
তবে খেলা শুরু হলেও একে একে মাঠের বাইরে চলে যেতে থাকেন গামাগে-লাকমলরা। একসময় দশজন ক্রিকেটারে খেলা চালিয়ে যেতে উদ্যত হয় সফরকারী দল। আম্পায়াররা আপত্তি জানালে শ্রীলঙ্কা কোচ নিক পোথাস মাঠে নামেন আলোচনার জন্য।
একাদশতম ক্রিকেটার হিসাবে মাঠে নামার জন্য শ্রীলঙ্কান ট্রেনার জার্সি পরে তৈরি হলেও বিরাট কোহলি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সাহসী সিদ্ধান্ত নেন। তিনি ৭ উইকেটে দলগত ৫৩৬ রানে প্রথম ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেন এবং ফিল্ডিং করার কথা জানিয়ে দেন আম্পায়ারদের।