জিম্বাবুয়ের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন প্রেসিডেন্ট এমারসন মানানগাগুয়া। এই মন্ত্রিসভায় প্রধান পদগুলোতে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
একই সঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের। এঁদের অনেকেই অবশ্য সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরপরই পদত্যাগ করেন। ধারণা করা হচ্ছে, মুগাবেকে সরাতে সেনাবাহিনী যে ভূমিকা রেখেছিল তার পুরস্কার হিসেবেই তাঁদের এই পদগুলো দেওয়া হয়েছে।
জেনারেল সিবুসিও মোয়োকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করেছেন নতুন প্রেসিডেন্ট মানানগাগুয়া। সেনাবাহিনী জিম্বাবুয়ের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর রাষ্ট্রীয় টিভিতে বিষয়টি ঘোষণা দেন তিনি। বিমানবাহিনীর প্রধান পেরেন্স শিরিকে কৃষি ও ভূমিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। গত সপ্তাহে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে পদত্যাগ করতে রাজি হওয়ার পর দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন এমারসন মানানগাগুয়া। মুগাবের আমলে মানানগাগুয়া ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
স্ত্রী গ্রেস মুগাবেকে উত্তরসূরি করার জন্য মানানগাগুয়াকে বরখাস্ত করার পদক্ষেপ নেওয়াতেই মুগাবের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পট প্রস্তুত হয়। কিন্তু তাঁর ঘোষিত নতুন মন্ত্রিসভার শীর্ষ পদে দুজন সামরিক কর্মকর্তা থাকার কারণে এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। জেনারেল মোয়ো ও শিরি ছাড়াও প্রভাবশালী প্রবীণ সেনা কর্মকর্তা ক্রিস মুতসভাঙওয়া, যিনি সামরিক হস্তক্ষেপের পর মুগাবেকে ক্ষমতা ছাড়তে চাপ সৃষ্টি করেছিলেন, তাঁকেও তথ্যমন্ত্রী করেছেন মানানগাগুয়া। সূত্র : রয়টার্স।