প্রিন্স মিতেব প্রয়াত বাদশাহ আবদুল্লাহর ছেলে। একসময় তাঁকেই সৌদি সিংহাসনের উত্তরাধিকারী বলে মনে করা হতো। তিনি ১০০ কোটি ডলারে তাঁর মুক্তির ব্যাপারে সমঝোতা করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
৪ নভেম্বর দুর্নীতির অভিযোগে ১১ প্রিন্স, চার মন্ত্রী ও কয়েকজন সাবেক মন্ত্রীসহ যে ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের একজন প্রিন্স মিতেব বিন আবদুল্লাহ। তাঁকে দেশটির ক্ষমতাধর ন্যাশনাল গার্ডের মন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘প্রিন্স মিতেবকে মঙ্গলবার সকালে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’
ছেলে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে প্রধান করে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ নতুন একটি দুর্নীতি দমন কমিটি গঠন করেন। কমিটি তদন্ত, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও সম্পদ জব্দের ক্ষমতা পায়। এর পরপরই ব্যাপক ধর-পাকড় শুরু হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের রাখা হয় রাজধানী রিয়াদের বিলাসবহুল রিজ-কার্লটন হোটেলে। এটি পরিণত হয় সৌদি আরবের পাঁচ তারকা কারাগারে ।
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বাবা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ ২০১৫ সালে সিংহাসনে আরোহণ করেন। এর আগ পর্যন্ত বহির্বিশ্বে বর্তমান যুবরাজকে খুব কম লোকই জানতেন। তাঁর ক্ষমতায় আরোহণ মূলত শুরু হয় তিন বছর আগে থেকে। এরই মধ্যে তিনি বেশ কিছু উচ্চাকাঙ্ক্ষী সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনি ঘোষণা দেন, নারীর গাড়ি চালানোর ওপর যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তাঁর দেশে, তা তুলে নেওয়া হবে। সে সময় তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবে দশকের পর দশক ধরে চলে আসা রক্ষণশীল ঐতিহ্যকে ভাঙার চেষ্টা করছেন তিনি। গত জুন মাসে সাবেক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফকে সরিয়ে নিজের সন্তান মোহাম্মদ বিন সালমানকে যুবরাজ ঘোষণা করেন বাদশাহ সালমান। শাসনব্যবস্থায় নিজের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতেই যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন।