বিদেশী সহায়তা না পাওয়ায় অবশেষে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে নোয়াখালীর ভাষানচরে মিয়ানমান থেকে আসা এক লাখ রোহিঙ্গাদের জন্য আবাসন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ২ হাজার ৩১২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। একনেকে মঙ্গলবার এই প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছে বলে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান।
প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় রোহিঙ্গাদের জন্য আবাসন প্রকল্পসহ ১৪টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রকল্প অনুমোদনের বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান। অনুমোদিত ১৪ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১০ হাজার ৯৯ কোটি ২৮লাখ টাকা। যার মধ্যে সরকারি ১০ হাজার ৪৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
জানা যায়, রোহিঙ্গাদের জন্য ১ লাখ ৫ হাজার ২ শ’ জন মানুষের বসবাসের জন্য ১২০টি গুচ্ছগ্রাম, ১ হাজার ৪৪০টি ব্যারাক হাউজ, ১২০টি শেল্টার ষ্টেশন নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের নাম আশ্রয়ন-৩। বলা হচ্ছে, বিপন্ন রোহিঙ্গাদের বিশাল স্রোত দেশের নিরাপত্তা পরিবেশ দুটোর জন্যই হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। এদেশে আসা রোহিঙ্গারা কক্সবাজার এলাকার বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছে। কিন্তু এখন স্থান সংকুলান করা যাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত পাহাড়ি জমি ও বনাঞ্চল নষ্ট হচ্ছে।