সৌদিতে কী ঘটেছিল, জানাতে চান না হারিরি

Slider সারাবিশ্ব

a4c893953ac3c961e58a2e45e34501c2-5a1d85d2939eb

 

 

 

 

সৌদি আরবে অবস্থানের সময় যা ঘটেছে, তা প্রকাশ করতে চান না লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি। তাঁর ভাষ্য, সৌদি আরবে যা ঘটেছে, তা সেখানেই থাক। প্রকাশ করে লাভ কী?

নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সৌদি আরবে গিয়ে হুট করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন সাদ হারিরি। নিজ জীবননাশের আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি। লেবাননে ইরানের ভূমিকার সমালোচনা করেন।
তবে লেবানন কর্তৃপক্ষ দাবি করে, তাঁকে রিয়াদে ডেকে নিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ হারিরিকে আটক করে রেখেছে। হারিরি অবশ্য তখন নিজেকে স্বাধীন দাবি করেছিলেন। দেশে ফিরে ২২ নভেম্বর লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের সঙ্গে বৈঠকের পর পদত্যাগের ঘোষণা থেকে সরে আসেন হারিরি। কিন্তু তাঁর পদত্যাগ নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন থামছে না। বিশেষ করে পদত্যাগের ঘোষণার সময় তিনি ইরান এবং দেশটি-সমর্থিত লেবাননের রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য হিজবুল্লাহর ভূমিকার সমালোচনা করেছিলেন। তিনি যে ভাষায় সমালোচনা করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে সৌদি ভাষ্যের অনেক মিল রয়েছে।

এর মধ্যে সোমবার ফরাসি সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাদ হারিরি বলেন, আকস্মিক পদত্যাগের ঘোষণার মাধ্যমে নিজ দেশের জনগণের মধ্যে ‘ইতিবাচক ধাক্কা’ দিতে চেয়েছিলেন তিনি। তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সৌদি আরবের কোনো চাপ ছিল না।

ফরাসি টেলিভিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে হারিরি বলেন, তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন। হিজবুল্লাহ যদি লেবাননের বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন করতে রাজি না হয়, তবে তিনি পদত্যাগ করবেন।

লেবানন শাসন করছে জোট সরকার। এতে হারিরিকে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে হয়। লেবাননের দক্ষিণে সংগঠনটির সামরিক শক্তি বেশ সুসংহত।

হারিরি সৌদি আরবে অবস্থানের সময় অচলাবস্থা নিরসনে এগিয়ে আসে ফ্রান্স। তাদের মধ্যস্থতায় রিয়াদ থেকে প্যারিসে যান হারিরি। সেখানে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে বুধবার লেবাননের স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপনের জন্য দেশে ফিরে গিয়ে পদত্যাগ স্থগিত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *