রাখাইনে ধর্মীয় বৈষম্য হয়নি : পোপকে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান

Slider সারাবিশ্ব

1118515_kalerkantho_pic

 

 

 

 

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং পোপ ফ্রান্সিসের সাথে বৈঠকে দাবি করেছেন রাখাইন রাজ্যে ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য হয়নি। সেই সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনী সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বৌদ্ধপ্রধান দেশ মিয়ানমারে প্রথমবারের মতো কোনো পোপের সফরে সোমবার পোপ ফ্রান্সিস দেশটিতে পৌঁছেছেন। সফরের শুরুর দিনেই দেশটির সেনাপ্রধানের সাথে দেখা করেন পোপ। রাতে সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিনের দেয়া ফেসবুক পোস্টে দেখা যায়, রাখাইন রাজ্যে কোনো ধর্মীয় বৈষম্য হয়নি বলে পোপ-কে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।

সেনাপ্রধানের অফিস থেকে বলা হয়েছে, জেনারেল মিন পোপকে জানিয়েছেন যে, দেশটির সেনাবাহিনী রাখাইন অঞ্চলে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা আনতে কাজ করে যাচ্ছে। তবে এসবের জবাবে পোপ ফ্রান্সিস কি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন- তা উল্লেখ করা হয়নি মিয়ানমারের পক্ষ থেকে। যদিও, মিয়ানমার সফরে পোপকে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার না করার বিষয়ে আগেই পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। এর আগে সোমবার পোপ মিয়ানমার পৌঁছুলে হর্ষধ্বনির মাধ্যমে তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানানো হয়। ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা এমন এক সময়ে মিয়ানমার সফর করছেন যখন দেশটির সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা মুসলমানদের জাতিগত নিধনের অভিযোগ রয়েছে।

দেশটির সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে গত তিন মাসে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

ভ্যাটিকানের কর্মকর্তারা বলছেন, পোপ মিয়ানমার সফরের সময় মৈত্রী পুন:প্রতিষ্ঠা এবং সঙ্কট সমাধানের জন্য সংলাপের ওপর জোর দেবেন। সেনা প্রধানের পর মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেতা অং সান সুচির সাথে দেখা করবেন পোপ। এরপর তিনি যাবেন বাংলাদেশ সফরে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *