আদালতে উপস্থিত হয়ে আসিফ নজরুল আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন জানান। আদালতে আসিফ নজরুলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ আসাদউজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর।
পরে মনিরুজ্জামান বলেন, মানহানির মামলায় আদালত ১০ সপ্তাহের এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করা পর্যন্ত আগাম জামিন দিয়েছেন।
মাদারীপুর সদর থানায় করা এই মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসিফ নজরুল তাঁর ফেসবুক পেজে চট্টগ্রাম বন্দরে লস্কর পদে (জাহাজের রশি বাঁধা ও পাহারা দেওয়াই যাঁদের মূল কাজ) নিয়োগ নিয়ে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য দিয়েছেন। আসাদউজ্জামান তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মাদারীপুর সদর থানায় আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আদেশের জন্য পাঠানো হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৮ নভেম্বর আসিফ নজরুল চট্টগ্রাম বন্দরে লস্কর পদে নিয়োগ নিয়ে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেন। সেখানে বলা হয়, এই পদে নিয়োগ দেওয়া ৯২ জনের মধ্যে ৯০ জনই মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা। বিবরণে আরও বলা হয়, নৌমন্ত্রীকে নিয়ে যে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছ তা ভিত্তিহীন। এখানে মোট ৮৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যাঁদের মধ্যে মাদারীপুর জেলার মাত্র ৮ জন রয়েছে।
গত মঙ্গলবার তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের করার জন্য নৌমন্ত্রীর ভাগনে আসাদউজ্জামান জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন। তবে আদালত মামলাটি গ্রহণ করেননি। পরে বৃহস্পতিবার আসাদউজ্জামান আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মাদারীপুর সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গতকাল সোমবার সকালে এটি মামলা হিসেবে নেওয়া হয়। একই ঘটনায় গত ২৪ নভেম্বর আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করা হয়।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মো. আবু নাইম বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় মামলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, নৌমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকের ওই পোস্ট তাঁর নামে করা ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া হয়েছিল। ওই ভুয়া অ্যাকাউন্টের বিষয়ে ফেসবুকে তিনি বিভিন্ন সময়ে সবাইকে সতর্ক করেছেন।