দুনিয়া থেকে সন্ত্রাসবাদীদের চিরতরে মুছে দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। রবিবার রিয়াদে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা করেন।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের লক্ষ্যে রবিবার রিয়াদে ইসলামিক মিলিটারি কাউন্টার টেররিজম কোয়ালিশন-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনে জোটবদ্ধ হল ‘প্যান ইসলামিক ইউনিফায়েড ফ্রন্ট’-এর সদস্য ৪১টি মুসলিম রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা।
বৈঠকে সৌদি আরবের যুবরাজ তথা প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আমাদের সবার দেশে জঙ্গি হানার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়নি। এই জোটের পরে আর তা হবে না। ’
২০১৫ সালে যুবরাজ মোহাম্মদের উদ্যোগে তৈরি হয় ৪১ রাষ্ট্রের সন্ত্রাস বিরোধী জোট। জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলির বেশিরভাগই সুন্নিপন্থী সরকার দ্বারা শাসিত। জোটে সামিল হয়নি শিয়াপন্থী ইরান, সিরিয়া ও ইরাক।
উল্লেখ্য, লেবাননের রাজনৈতিক প্রেক্ষিত এবং সিরিয়া ও ইয়েমেনে যুদ্ধের জেরে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে ইদানীং সম্পর্কের যথেষ্ট অবনতি ঘটেছে।
লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুথি-র মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে সমর্থন করছে তেহরান, এমনই অভিযোগ সৌদির।
রিয়াদের সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলির মধ্যে রয়েছে মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, আফগানিস্তান, উগান্ডা, সোমালিয়া, মৌরিতানিয়া, লেবানন, ইয়েমেন ও তুরস্ক। সম্মেলনে জোটের কম্যান্ডার-ইন-চিফ হিসেবে মনোনীত হয়েছেন পাকিস্তানের অবসরপ্রাপ্ত সেনাধ্যক্ষ জেনারেল রাহিল শরিফ। ওই বৈঠকে তিনি বলেন, ‘তথ্য ও রসদ আদানপ্রদানের মাধ্যমে নিজস্ব সন্ত্রাস-দমন শক্তি গড়ে তুলবে সদস্য দেশগুলি। ’
প্রসঙ্গত, জোট সদস্যদের মধ্যে কাতার অন্তর্ভুক্ত হলেও সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেনি। এমনকি নজরে পড়েনি কাতারের পতাকাও।