সকলেই ভাবেন বিয়ের সঠিক বয়স কতো? ছেলে, মেয়ে ভেদে বিয়ের বয়স সামাজিক ভাবে আলাদা তা আমরা সকলেই জানি। ছেলেরা একটু বেশি বয়সে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন জীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য, অন্যদিকে মেয়েদের পরিবারের চাপে পড়ে অনেক আছেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়। যদিও আজকাল এই প্রথার কিছুটা হলেও পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি সমাজে।
তাহলে সত্যিকার অর্থে বিয়ের সঠিক সময় কোনটি? নারী হোক বা পুরুষ, একজন মানুষের বয়স অন্তত ২৫ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে করা উচিত নয় একেবারেই। জানতে চান কী কারণে? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক।
১) পুরোপুরি ম্যাচিউরড হয়ে বিয়ে করা উচিত
১৮ বছর বয়সে একজন মানুষ পূর্ণবয়স্ক হয়ে থাকেন। কিন্তু নারী বা পুরুষ দুজনেরই নিজের একটি সংসার সামলানোর দায় দায়িত্ব নেয়ার ক্ষমতা ২৫ এর পরই আসে এবং এটি শারীরিক নয় পুরোপুরি মানসিক ব্যাপার।
২) নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ তৈরি করতে
আমাদের দেশে ২৫ এর আগে নয় বরং ২৫ এর পরেই একজন মানুষকে একটি খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার মতো চাকুরি পেতে দেখা যায়। পুরুষদের এই সুযোগটি দেয়া হলেও অন্যের স্ত্রী হতে হয় বলে নারীদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর এই সুযোগ বেশ কমই দেয়া হয়। কিন্তু আসলেই প্রতিষ্ঠিত হতে হলে ২৫ এর পরই বিয়ের চিন্তা করা উচিত।
৩) আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে বিয়ে করা উচিত
শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠিত নয় একজন মানুষের জীবনযাপনের জন্য আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমাদের সমাজে শুধুমাত্র পুরুষের এই দিকটি দেখা হয়। কিন্তু একজন নারী হিসেবেও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া উচিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে।
৪) পরিবারের মূল্য বুঝে বিয়ের জন্য রাজি হওয়া উচিত
২৫ বছর বয়সের আগে একজন মানুষের পক্ষে পরিবারের মূল্য কতোখানি তা সঠিকভাবে বুঝে ওঠা সম্ভব নয়। প্রমাণ পেতে আশেপাশেই একটু নজর বুলিয়ে দেখুন। সদ্য গ্র্যাজুয়েট একজন মানুষ নিজেকে বুঝতেই তো সময় পার করে দেন, তিনি পরিবার কি জিনিস তা বুঝবেন কীভাবে?
৫) নিজের ভবিষ্যৎ ঠিক করে নিয়ে বিয়ের কথা ভাবা উচিত
ভবিষ্যতে কী করছেন, কোন লক্ষ্যে গিয়ে পৌঁছুবেন এবং সঠিক পথে হাঁটা শুরু করে তবেই বিয়ের কথা চিন্তা করা উচিত। তা না হলে লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
৬) নিজের জন্য সঠিক মানুষটি খুঁজে নিয়ে বিয়ে করুন
লাভ বা আরেঞ্জ যেভাবেই বিয়ে করুন না কেন সেটি হবে পুরো জীবনের একটি বন্ধন। সুতরাং ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। নিজের জন্য সঠিক মানুষ কোনজন তা বুঝতেও ম্যাচিউরিটির প্রয়োজন রয়েছে।
৭) দায়িত্ব নিতে শিখে বিয়ের কথা ভাবা উচিত
২৫ বছর বয়সের আগে ছাত্রজীবনে প্রায় সকলকেই একটু দায়সারা গোছের জীবনযাপন করতে দেখা যায়। তাই প্রথমে দায়িত্ব নেয়ার বিষয়টি শিখে নেয়া উচিত বিয়ের কথা ভাবার আগে।
৮) নিজেকে গুছিয়ে নিতে শিখে বিয়ে করা উচিত
বিয়ে কোনো ছেলে খেলা নয়। অনেক বড় একটি দায়িত্ব জড়িয়ে আছে এতে। বাপের বাড়ি, শ্বশুর বাড়ি এবং নিজের সংসার স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই ৩ টি সংসার সামাল দিতে হবে। তাই প্রথমে নিজেকে একটু গুছিয়ে নিতে শেখা উচিত। আর এই গুছানো ২৫ বছরের পরেই দেখা যায় সকলের মধ্যে।